আজ, ১৪ই অগাস্ট, কন্যাশ্রী দিবস। কন্যা সন্তানের উন্নতিতে তৈরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যের মস্তিষ্কপ্রসূত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্প বর্তমানে দুনিয়াজুড়ে প্রসিদ্ধ। গর্বিত রাজ্য৷ এ দিনে সোশাল মিডিয়ায় সকল কন্যাশ্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "বাংলার সব মেয়েদের সাফল্য আজ উদযাপন করব। আমি তাঁদের কৃতিত্ব, উৎসাহ আর নিষ্ঠার জন্য গর্বিত। কন্যাশ্রী প্রকল্প লক্ষাধিক তরুণীকে তাঁদের স্বপ্নপূরণে সহায়তা করেছে। একটি জাতি হিসাবে, সবসময় আমাদের নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করতে হবে।"
তৃণমূলের অফিসিয়াল ফেসবুকে কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। যেখানে উল্লেখ, "কোন চিন্তা ছাড়াই বাংলার লক্ষ লক্ষ মেয়েকে তাদের স্বপ্নকে ছুঁতে সহায়তা করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প! আমরা আমাদের সকল মেয়েদের তাদের সাফল্যের জন্য কন্যাশ্রী দিবসে অভিনন্দন জানাই। এই অনন্য উদ্যোগের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন এবং এই প্রকল্পের ফলে বহু তরুণীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে।"
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম সফল প্রকল্পের নাম কন্যাশ্রী। মেয়েদের স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যেই শুরু হয় এই প্রকল্প। টাকার অভাবে গরিব ঘরের মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার যে সমস্যা, তাতে লাগাম টানতে এই প্রকল্পের সূচনা হয় ২০১৩ সালে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ছাত্রীরা প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক ১০০০ টাকা এবং এককালীন ২৫ হাজার টাকা বৃত্তি পায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া টাকা উচ্চশিক্ষায় কাজে লাগাতে পারে ছাত্রীরা। ১৮ বছরের নীচে মেয়েদের বিয়ের বিরুদ্ধে এই প্রকল্প তৈরি হয়। লক্ষ লক্ষ মেয়েরা উপকৃত হয়েছে সরকারি এই প্রকল্পের ফলে। সরকারি অনুদানে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে নিজেদের সাফল্যের পথে ৷ এরফলে রাজ্যে পড়ুয়াদের মধ্যে স্কুলছুটের প্রবণতা কমেছে। রাজ্য, দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্প৷ ৬৩টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পকে পিছনে ফেলে ইউনিসেফের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দফতর আয়োজিত 'গার্ল সামিট'-এ সেরার শিরোপা পেয়েছে কন্যাশ্রী৷
চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত মুর্শিদাবাদের ছাত্রী রুমানা সুলতানাকে কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন