১৫ দিনের মধ্যে অমর্ত্য সেনের বাড়ি 'প্রতিচী'র দখলীকৃত ১৩ ডেসিমেল জায়গা খালি করতে হবে বলে নোটিস জারি করেছে বিশ্বভারতী। বুধবার রাত ১১ টায় সেই নোটিশ জারি করা হয়েছে। নোটিসে সাফ বলা হয়েছে, জমি খালি না করলে উচ্ছেদ করা হবে।
এর আগেও নোটিস জারি করেছিল বিশ্বভারতী। নোটিস দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্ষান্ত হয়নি। অমর্ত্যর 'দখল' করা জমি উদ্ধারে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারির সেই নোটিস 'প্রতিচী' বাড়ির দেওয়ালে সাঁটিয়ে দেয় বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ। এর পাল্টা আইনি যুক্তি দিয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। চিঠিতে তিনি জানতে চেয়েছেন যে, কোন আইনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁকে উচ্ছেদ করার কথা বলেছে। গত ১৭ এপ্রিল অর্থনীতিবিদ বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচীব তথা বিত্ত আধিকারিককে এই চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠিতে 'প্রতীচী' বাড়ির চত্বরের আইনশৃঙ্খলা ও শান্তিরক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট, তাও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে মনে করিয়ে দেন অমর্ত্য সেন। চিঠির মাধ্যমেই অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন তিনি জুন মাসে শান্তিনিকেতনে ফিরবেন।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ি 'প্রতিচী' বাড়ির ১৩ ডেসিমেল জমি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে তুলেছে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর দাবি, অমর্ত্য সেনের পরিবারের ইজারা পাওয়া ১.৩৮ একর জমির মধ্যে ১৩ ডেসিমেল জমি বেদখল করে রেখেছেন অর্থনীতিবিদ। এই অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৪ টি চিঠি দিয়ে জমি ফেরত চেয়েছে। বিশ্বভারতী অবশ্য তার অবস্থানে অনড় থেকেই সম্পত্তি বিভাগের তরফে নোটিস জারি করে। তাতে বলা হয়েছে, 'ওই জমি মানুষের সম্পত্তি৷ সেই জমি দখল করে রাখা যায় না৷ অধ্যপক অমর্ত্য সেনকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে৷ তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল৷ উনি হাজির হননি বা ওনার প্রতিনিধিও পাঠাননি৷ আগামী ১৯ এপ্রিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে৷'
সেই মতো ১৯ এপ্রিল অর্থ্যাৎ বুধবার রাত ১১ টায় বিশ্বভারতী নোটিস জারি করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অমর্ত্য সেনের 'দখল' করা জমি ছাড়তে বলেছে। নাহলে উচ্ছেদ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।