অমর্ত্য সেনের বাড়ি থেকেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তুলোধনা করেছেন কেন্দ্রকে। জমি বিতর্কে 'শেষ দেখে ছাড়ব' বলে আশ্বাস দিয়েছেন নোবেলজয়ীকে। যা নিয়ে নানা আলোচনা তুঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসে কতটা আশ্বস্ত অমর্ত্য সেন? তা নিয়েই সোমবার সন্ধ্যা অকপট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
কী বলেছেন অমর্ত্য সেন?
প্রতীচীতে বসে অমর্ত্যবাবু বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর আমাকে আশ্বাসেই সব বিতর্ক মিটে যাবে তা আমি মনে করি না। যাঁরা এই ব্যাপারে নিয়ে বিচলিত, আমাকে বাড়ি ছাড়া তাদের উদ্দেশ্য আরেকটু বড়। এর মধ্যে রাজনীতি, সমাজনীতি রয়েছে। আমার বাবার কেনা ও লীজ নেওয়া জমি ওদের মতে নানা কারণে আমার প্রাপ্য নয়। আসলে রাজনীতিগতভাবে আমার মত ওদের থেকে আলাদা। আমি সাম্প্রদায়িকতার বিরোধী। যারা প্রধানত সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করেন তাদের কাছে অসাম্প্রদায়িকতা বাঞ্ছনীয় পরিস্থিতি নয়। তাই এরা আমাকে বাধা দেবে।'
মুখ্যমন্ত্রী এদিন 'প্রতীচী'তে গিয়ে অমর্ত্য সেনকে তাঁর বসত বাড়ির দলিল সংক্রান্ত সব নথি দিয়ে আসেন। বলেন, 'মাছির মতো ভ্যান ভ্যান করে গৈরীকিকরণ করে অমর্ত্য সেনকে অপমান করার অধিকারী কারোর নেই। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।' মমতার দাবি, বিশ্বভারতীকে কে জমিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। বলেন, ‘ও (বিশ্বভারতী) জমি পেয়েছে বিনা পয়সায়, আবার খবরদার করছে। কেন মিথ্যা বলবে?’'
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই উদ্যোগকে কী নজরে দেখছেন নোবেলজয়ী। জাবেব অমর্ত্য বলেন, 'জমির ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেছেন উনি। রাজনৈতিক নেতৃত্বের অই উৎসাহ কাম্য বলেই মনে করি সেজন্য ভালই লাগল।'
মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পর বিশ্বভারতীয় উপাচার্য ডঃ বিদ্যাৎ চক্রবর্তী বলেছেন, 'আমরা লড়ব। উনি যদি আদালতে যায় ভাল তো। আমরা চাইছি তো। কাগজপত্র জমা দিন। জমি সংক্রান্ত বিষয়টা পরিস্কার হোক। ওনারও অসম্মান হবে না আমাদেরও অসম্মান হবে না। আমাদেরও তো খারাপ লাগছে, আমাদের কি ভাল লাগছে? আমাদের কাছে কাগজ আছে। জমি তো আমাদের।'
ফলে এখনই বিতর্ক মেটার নয়। অমর্ত্য সেনের অনুমানই যেন বাস্তবায়িত হওয়ার পথে।