স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা সেল-র কাঁচামাল বিভাগের দফতর কলকাতা থেকে না সরানোর আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও ইস্পাত মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে বহু স্থায়ী কর্মচারীর ক্ষতি ও অস্থায়ী কর্মচারীদের কর্মচ্যূতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা সেল-র কাঁচামাল বিভাগের দফতর কলকাতা থেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সেল-র কাঁচামাল বিভাগে বর্তমানে ১৫০ জনের মতো স্থায়ী কর্মচারীর রয়েছেন। অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা আরও বেশি। কেন্দ্রেীয় সরকারের দফতর পাল্টানোর পদক্ষেপে সেলে কর্মরতদের পরিবারকে সঙ্কটে পড়তে পারে। সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে এ রাজ্যে অবস্থিত দুই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা দুর্গাপুর ষ্টিল প্লান্ট এবং ইসকোও। এমনটাই মনে করেন অমিত মিত্র।
করোনাকালে বেকারত্বের হার বাড়ছে। তলানীতে অর্থনীতির হাল। এই অবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার দফতর কলকাতা থেকে সরানো হলে তা শিল্পমহলের কাছে নেতিবাচক বার্তা বহন করবে। অন্যদিকে সমস্যার মুখে পড়তে হবে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় কর্মরত বহু কর্মীর পরিবারকে। তাই সেলে-র দফতর কলকাতাতে থেকে না সরানোর আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।
কলকাতা থেকে সেলে-র দফতর গোটানোর প্রতিবাদে কেন্দ্রে বিরুদ্ধে আন্দোলনে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন