নির্বাচন বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোর যে কলেজের ছাত্র, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সেই কলেজেরই অধ্যক্ষ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রশান্তের কাজ করার সম্ভাবনাকে কটক্ষ করে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই বিজেপি নেতার দাবি, পশ্চিমবঙ্গে জনগণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখছেন না। কোনও নির্বাচনী কৌশল রচয়িতার পক্ষে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন প্রশান্ত। তাঁদের মধ্যে একান্তে বৈঠক হয়। এরপরই জল্পনা শুরু হয়, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপি-র বিপুল উত্থানের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার সঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে ওই নির্বাচনী কৌশল রচয়িতার।
কৈলাশের কথায়, "তৃণমূল যতজন ইচ্ছে স্ট্র্যাটেজিস্ট নিয়োগ করতে পারে। আমরা বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই। বাংলার জনতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপশাসনে বীতশ্রদ্ধ। এই সরকারের পতন ঘটাতে তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রশান্ত কিশোর বা অন্য কেউ জনগণের এই প্রতিজ্ঞায় ফাটল ধরাতে পারবেন না।"
যদিও তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে প্রশান্ত বা তাঁর সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। মুখে কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূলের নেতারাও। তবে দলীয় সূত্রের খবর, আগামী জুলাই থেকে প্রশান্ত বাংলায় কাজ শুরু করতে পারেন। এক তৃণমূল নেতার কথায়, "দলের শক্তঘাঁটিগুলিতে কেন এমন নির্বাচনী বিপর্যয় হল, তা খতিয়ে দেখবেন প্রশান্ত। এরপর তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করে দলকে দেবেন। তার মধ্যে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলি জনগণের কাছে ঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়ার দাওয়াই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।"
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি দখল করে রক্তচাপ বাড়িয়েছে তৃণমূলের। এরপর একাধিক তৃণমূল বিধায়ক দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন পদ্ম শিবিরে। একের পর এক পুরসভাও হাতছাড়া হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের। এসবের প্রেক্ষিতেই প্রশান্তের সঙ্গে মমতা বৈঠক করেছেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
Read the Full Story in English