অমিত শাহর মুখে ফের বাংলায় বদলের ডাক। আবারও পুজোর উদ্বোধনে। সোমবার মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গা পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার প্রসিদ্ধ এই পুজোর থিম রামমন্দির। অযোধ্যার আগে কলকাতার রামমন্দিরে দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের ডাক বিশেষ তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
কী বলেছেন অমিত শাহ?
এদিন বিকেলে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে আসেন অমিত শাহ। নিরাপত্তা বেষ্টনী ও ভিড়ে ঠাসা রামমন্দিরে এসে মুগ্ধ মোদীর ডেপুটি। অযোধ্যার আগে কলকাতায় দুর্গা পুজোয় রামমন্দিরের প্যান্ডেল হওয়ায় প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, 'জানুয়ারিতে রাম মন্দির উদ্বোধন হওয়ার আগেই উত্তর কলকাতায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করে দিয়েছেন কলকাতাবাসী। উত্তর কলকাতার এই বিশ্বে দুর্গামণ্ডপ সমগ্র বিশ্বে বার্তা পাঠাচ্ছে। মায়ের কাছে দেশ তথা বাংলার জনতার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রার্থনা করব।'
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, 'এই ৯ দিন পশ্চিমবঙ্গের জন্য দীপাবলির থেকেও বড় উৎসব। গোটা বাংলায় মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর পুজো হয়। শক্তির আরাধনা হয়।'
২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। তার আগে দুর্গামণ্ডপ রামমন্দিরে দাঁড়িয়ে তাই রাজনীতির কথা এড়াতে পারেননি শাহ। তাঁর স্পষ্ট ঘোষণা, 'পশ্চিমবঙ্গে আসব, রাজনীতি করব, আর পরিবর্তনের জন্য সর্বশক্তি লাগিয়ে দেব। কিন্তু আজ নয়। মায়ের কাছে দেশ তথা বাংলার জনতার জন্য সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রার্থনা করব। এই দুর্নীতি, অত্যাচার যাতে শীঘ্রই শেষ হয় সেজন্য প্রার্থনা এই দুর্নীতি, অত্যাচার যাতে শীঘ্রই শেষ হয় সেজন্য প্রার্থনা করব।'
চলতি বছর এপ্রিলে বীরভূমে এসে বাংলা থেকে ৩৫ লোকসভা আসন জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। রোড ম্যাপও বাতলেছিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে। এরপর পঞ্চায়েত ভোট হলেও আশানুরূপ ফল করতে পারেনি গেরুয়া বাহিনী। ভোটে তৃণমূলী সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল পদ্ম শিবির। বর্তমানে প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছে বিজেপিতে। এসবের মধ্যেই বাংলায় এসে দুর্গাপুজোর সময় পরিবর্তনের শাহী ডাক রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে সল্টলেকের এফডি ব্লক-সহ বেশ কয়েকটি দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন অমিত শাহ। তুলেছিলেন বাংলায় বদলের ডাক। একুশের ভোটে অবশ্য কাঙ্খিত পরিবর্তন হয়নি। উল্টে আরও বেশি আসন জিতে বঙ্গ বিজয়ের হ্যাটট্রিক করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। এবার লোকসভা ভোটে ২০১৯য়ের প্রতিফলন ঘটবে, নাকি খেলা ঘোরাবে তৃণমূল, সেদিকেই এখন নজর।