লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়েছে সমস্ত যানচলাচল। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক ক্ষেত, জমি। উত্তর ২৪ পরগণার একাধিক জেলায় বৃষ্টির দাপট, বাঁধ ভাঙা জলে ভেসে গিয়েছে বহু ক্ষেত। মাথায় হাত কৃষক থেকে জমির মালিকদের। এদিকে হিমঘরে সবজির স্টকও লকডাউনের বাজারে শেষের পথে। অতঃপর আগামী দিনে সবজির দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল।
চাহিদা বাড়লেও যোগান কম। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
এমনিতেই ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে পাল্লা দিয়ে ভেড়ির মাছের মৃত্যু আর যোগান কম হওয়ায় হুহু করে বেড়েছে মাছের দাম। সেই আবহে সবজিতে মুখ ফিরিয়ে যে এক থলে বাজার করবে রাজ্যবাসী এখন যেন সে উপায়ও নেই। আমফান-করোনা ধাক্কায় সাধ্যের সবজিও এখন নাগালের বাইরে। আলু-পেয়াজের মতো সবজিতেও কেজি প্রতি দাম বেড়েছে কিছুটা।
দাম বাড়ায় ক্রেতাদের চাহিদাতেও ভাঁটা। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
সবজি ব্যবসায়ীদের মত লকডাউনের পঞ্চম দফায় বেশ কিছু ছাড় মিললেও সবজির পাইকারি বাজারের এক এক জায়গায় এক এক রকম চিত্র। কোনও পাইকারি বাজারে জলের দরে বিকোচ্চে সবজি কোনও খুচরো বাজারে আবার দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সেই আনাজ। এদিকে দাম বৃদ্ধি হওয়ায় প্রয়োজনের বাইরে সবজি কেনার চাহিদা কমেছে ক্রেতাদেরও। অর্থনৈতিক টালমাটালে তাই ধুঁকছে বাংলার সবজি বাজারও।
সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে বেশ কিছু বাজারে। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
সবজি বিক্রেতাদের সাফ বক্তব্য, "লকডাউনে এমনিতেই অবস্থা খুব খারাপ ছিল। এরপর এই ঘূর্ণিঝড় হওয়াতে সব শেষ হয়ে গেল। এরপর আগামী দিনে সবজি পেতেও অসুবিধা হবে।" পটল-ঝিঙে-ঢ্যাঁড়শএর মতো সবজির দাম এক লাফে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, "বাজারে সেরকম ভালো সবজি নেই। আর থাকলেও তার দাম অনেক। নিত্যদিনের কেনার জন্য সেটা অনেকটাই।" এদিকে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য এককালীন টাকা দেওয়ার কথা বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন