একদিকে যেমন করোনায় রাজ্যে উর্ধ্বমুখী আক্রান্তের সংখ্যা, অন্যদিকে আমফান বিপর্যয়ে বাড়ল মৃতের সংখ্যাও। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে বাংলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৮। এখনও ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর ২৪ পরগণার একাধিক অঞ্চল। সেই সব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ৬২৫০ কোটির ত্রাণ তহবিলের কথা এদিন ঘোষণা করেন মমতা। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে মৃতের সংখ্যা ৮৬ থেকে বেড়ে ৯৮ হয়েছে। এই ভয়ঙ্কর দুর্যোগে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের আমরা অর্থসাহায্য করব।"
মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন যে এই ঘূর্ণিঝড়ের থাবায় নিহত প্রতিটি ব্যক্তির পরিবার আড়াই লক্ষ টাকা এবং গুরুতর জখম ব্যক্তিদের ৫০ হাজার এবং সামান্য আহত হয়েছেন সেই সকল ব্যক্তিদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন যে লকডাউনের ফলে রাজ্যের উপার্জন তলানিতে। কিন্তু জনগণের কথা চিন্তা করেই তিনি এই ত্রাণ তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। মমতা বলেন, “মার্চ থেকে আমাদের কোনও আয় নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে।"
আরও পড়ুন, আমফানে তছনছ বসিরহাটের জন্য নুসরতের পাশে দাঁড়ালেন পরমব্রত-রূপমরা
এই আমফানে যারা গৃহহারা হয়েছেন তাঁদেরকেও সাহায্য করা হবে বলে সাংবাদিক বৈঠক থেকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন যে, যাদের বাড়ী পুনর্নির্মাণ করতে হবে তাঁদেরকে সরকার ২০ হাজার টাকা দেবে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষীদের এককালীন ৫ হাজার টাকা এবং মনরেগা প্রকল্পে যুক্তদের ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে রাজ্যসরকারের তরফে।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার প্রায় ২০ লক্ষ কৃষকদের এককালীন দেড় হাজার টাকা দেওয়া হবে। পাশপাশি মেরামত ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্পগুলির জন্য বিভিন্ন বিভাগের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া বাঁধগুলি পুনর্নির্মাণ এবং টিউবওয়েল বসানোর জন্য ২০০ কোটি এবং ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। স্কুল, গণপূর্ত, পঞ্চায়েত ও পল্লী উন্নয়ন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, মৎস্য ও উদ্যান বিভাগকে ১০০ কোটি টাকা দেবে মমতা সরকার। আমফান ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে বিদ্যুৎ বিভাগকেও ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন