আমফান ত্রাণের দুর্নীতির অভিযোগে উত্তপ্ত গ্রাম-বাংলা। ন্যায্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ক্ষতিপূরণের অর্থ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যায্য ভাবে ত্রাণের টাকা আত্মসাৎ করেছে কতিপয় মানুষ। এমনটাই অভিযোগ করছে বিরোধিরা। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমফানের ক্ষতিপূরণ তাড়াতাড়ি দিতে গিয়ে কিছু ভুল হয়েছিল। তা ০.৫ শতাংশ। বামফ্রন্ট সরকার কাউকে কিছুই দিত না। আমরা সঙ্গে সঙ্গে করি বলে অনেকে তা নিয়ে রাজনীতি করে গিয়েছে অনেক বেশি।"
আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পর দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে রাজ্য়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। তারপর ১ হাজার কোটি টাকা ত্রাণের জন্য ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ৫ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয় রাজ্য। সেই ক্ষতিপূরণ নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ নিজেদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনকে অন্যায় ভাবে ত্রাণের অর্থ পাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতি নিয়ে সরব হয় বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম সহ বিরোধীরা। এই ঘটনার পর যাঁরা আবেদন করেছেন সে সম্পর্কেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আমফান নিয়ে হইহট্টগোলের পর অনেকে আবেদন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দেন, "আমরা আরও ৪০ হাজার আবেদন পেয়েছি। তার মধ্যে ২৬ হাজারের নাম জেলাশাসকের তালিকাতেই ছিল। রিভিউ করে ৬ হাজার আবেদনকারীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ৩ দিনের মধ্যেই শিবির করে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে। বাকিরা ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য না হওয়ায় সেইসব আবেদন খারিজ করা হয়েছে।"
তিনি পারলে যে সমস্য়ার সমাধান করে দেন সেকথাও এদিন বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মণ বাড়ির জন্য কাঠ কিনেছিলেন। চোরাই কাঠ বলে বন দফতরের আধিকারিকরা নোটিশ ধরায়। স্বপ্নাকে ফোনে বলেছি ওই কাগজে গুরুত্ব না দিতে। বিষয়টি ওখানেই থামিয়ে দিয়েছি। বন দফতরের ওই কর্মীকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।"