East Burdwan: প্রেমিকের সঙ্গে মতান্তরের জের। মন্তেশ্বরে নৃশংসতার শিকার এক আদবাসী মহিলা। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় মহিলার প্রেমিক সুনীল টুডু। রক্তাক্ত এবং ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নৃশংসতার নজির গড়ায় সুনীলের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার মন্তেশ্বরের পুরুনিয়া গ্রাম।
ঠিক কী হয়েছিল? স্থানীয় এবং নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত সুনীল টুডুর বাড়ি মন্তেশ্বরের মামুদপুর-১ পঞ্চায়েতের পুরুনিয়া গ্রামে। তাঁর প্রেমিকা অর্থাৎ নির্যাতিতার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানা এলাকায়। খেত মজুর এই মহিলার একটি সন্তানও রয়েছে। বছর দেড়েক আগে মারা গিয়েছেন তাঁর স্বামী।
মাস ছয় আগে মহিলার সঙ্গে সুনীলের প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। দু’জনে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু সম্পর্কে চিড় ধরায় দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। মহিলা অভিমান করে নাদনঘাট চলে যান। অভিযুক্ত সুনীল রবিবার প্রেমিকাকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনতে নাদনঘাটে যান।
সেই মহিলা সুনীলের সঙ্গে প্রথমে মন্তেশ্বরে ফিরতে রাজি হয়নি। পরে নানা অছিলায় ওই মহিলাকে ফুঁসলিয়ে সুনীল মন্তেশ্বরে নিয়ে আসেন। সেদিন সন্ধ্যায় গ্রামে ঢোকার মুখে দু’জনের মধ্যে ফের ঝামেলা বাঁধে। তখনই সুনীল প্রেমিকার উপর চড়াও হয়ে নির্যাতন শুরু করেন।
এমনকি, নিজের এই কুকীর্তি আড়ালে পরদিন সকালে সুনীল স্থানীয়দের কাছে দুষ্কৃতী হামলার গল্প ফাঁদে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানানা, মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন ওই মহিলার সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে সুনীলই। এরপরেই পুলিশ সুনীল টুডুকে গ্রেপ্তার করেছে। কেন সুনীল মহিলার উপর এমন নৃশংস নির্যাতন চালালো তা জানতে অভিযুক্তের জেরা চলছে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন