ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু একরত্তির। বিস্ফোরণের জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়ির একাংশ। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটেই এই বিপত্তি বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। যদিও গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মালদহের কালিয়াচকের নয়াগ্রাম। এই এলাকার একটি বাড়িতেই শনিবার সকালে বিস্ফোরণ ঘটে। সকালে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বহু দূর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন নয়াগ্রামের ওই বাড়িতে বিস্ফোরণের পরেই আগুন ধরে যায়। বাড়িটির রান্নাঘরের একাংশে আগুন ধরে গিয়ে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় গোটা এলাকায়।
এই ঘটনার পরেই ওই বাড়িতে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। জল ঢেলে শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। আগুন নেভাতে গিয়েই একপাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় একরত্তি ওই শিশুটিকে। বিস্ফোরণের জেরে গুরুতর জখম হয় বছর তিনেকের ওই শিশুটি। তড়িঘড়ি শিশুটিকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ততক্ষণে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে নয়াগ্রামে পৌঁছে গিয়েছিল কালিয়াচক থানার পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় দমকলের একটি ইঞ্জিনও।
আরও পড়ুন- SIT-এর থেকে নথি নিয়েই বগটুইয়ে CBI, পুরোদমে শুরু তদন্ত
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম তাবিরেজ শেখ। এদিন সকালে নিজের বাড়িতেই খেলছিল শিশুটি। তখনই বিকট শব্দে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণের জেরে শিশুটির মাথায় আঘাত লাগে। সম্ভবত তারই জেরে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। মৃত শিশুর কাকিমা গুঞ্জারিনা খাতুন এদিন জানিয়েছেন, তাঁর ভাইপো রান্নাঘরে তাঁরই পাশে খেলছিল। রুটি তৈরির জন্য জল আনতে রান্নাঘরের বাইরে গিয়েছিলেন তিনি।
ঠিক সেই সময় আচমকা বিকট শব্দে ফেটে যায় গ্যাসের সিলিন্ডারটি। কেঁপে ওঠে ঘর-বাড়ি। তিনি পরে গিয়ে তাঁর তিন বছরের ভাইপোকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এদিকে, কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটেই বিস্ফোরণের জেরে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিস্ফোরণের পিছনে থাকা সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।