এক বৃদ্ধ গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাচ্ছেন, ঘাটে হৈ হৈ রব। ভর দুপুরবেলা চরম উত্তেজনা। এইসময়ই হঠাৎ হাজির এক দেবদূত! মোটাসোটা এক ব্যক্তি আচমকা গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন। উদ্ধার করলেন ডুবতে চলা ওই বৃদ্ধকে। না কোন সিনেমার শ্যুটিং নয়। নয় কোন গল্পের মোচড়। সত্যিকারের এই ঘটনার সাক্ষী চুঁচুড়া শহর।
Advertisment
গঙ্গার তীরবর্তী এই শহরে প্রচুর ঘাট। আর সেই ঘাট গুলিতে স্নান করতে গ্রামগঞ্জ থেকে প্রচুর মানুষ আসেন। তেমনি প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরের গ্রাম দাদপুর থানার গোঁসাই-মালপাড়া থেকে গঙ্গাস্নান করতে আসেন হারাধন দাস। সত্তরউর্দ্ধ ওই বৃদ্ধ আসেন চুঁচুড়া বড়বাজারের একটি ঘাটে। কিন্তু স্নান করতে গিয়ে মাথা ঘুরে জলে পড়ে যান। এরপর জোয়ারে ভেসে যাচ্ছিলেন হারাধন।
সেই সময়ই চুঁচুড়া থানার পুলিশের টহলদারী একটি টিম ওই ঘাটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। ঘাট থেকে চিৎকার শুনে পুলিশের টিম দাঁড়িয়ে যায়। ঘাটে থাকা কয়েকজনের চিৎকার শুনে ওই টিমের একজন পুলিশ অফিসার আর চুপ থাকেননি। নিজেই বৃদ্ধকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন জলে। তাঁকে ঝাপাতে দেখে বাকি কয়েকজনও ঝাঁপিয়ে পড়েন। উদ্ধার করা হয় হারাধনবাবুকে।
দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁকে। চিকিৎসক দেখে জানান জলে ডুবে যাওয়ায় পেটে জল চলে গিয়েছিল বেশ খানিকটা। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসায় বৃদ্ধ বিপদ মুক্ত হয়েছেন। বৃদ্ধের থেকে জেনে পুলিশই খবর দেয় তার পরিবারকে। জানা গিয়েছে, মাঝে মধ্যে একাই গঙ্গা স্নান করতে বাড়ি থেকে ২৫ কিমি দূরে বাসে করে চুঁচুড়ায় আসেন হারাধন দাস। ঘটে অঘটন। তবে পুলিশের জন্য নতুন জীবন ফিরে পেলেন হারাধন। চুঁচুড়া হাসপাতালে শুয়েই রক্ষাকারী পুলিশ অফিসার সুমন্ত নন্দী এবং তাঁর টিমকে অকুন্ঠ আশীর্বাদ জানান বৃদ্ধ হারাধন। সব শুনে চুঁচুড়া থানার বড়বাবু অনুপম চক্রবর্তীও সুমন্ত নন্দীকে অভিনন্দন জানান।