'যড়যন্ত্র'। বগটুইয়ে নারকীয় হত্যালীলার পরই মুখ্যমন্ত্রী এই দাবি করেছিলেন। এছাড়া, রাজ্যের মন্ত্রী থেকে জোড়া-ফুলের মুখপাত্র- সবাই সেই তত্ত্বই আওড়েছিলেন। অন্যদিকে, ধৃত আনারুল হোসেনের ভাইপো দাবি করেছিলেন, 'অনুব্রত মণ্ডলই কাকাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।' এবার বগটুইকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল ব্লক সভাপতিও 'ষড়যন্ত্র' হয়েছে বলে দাবি করলেন। বললেন, 'আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, ষড়যন্ত্র।'
তাঁর বিরুদ্ধে কে বা কারা ষড়যন্ত্র করেছেন? এর জবাবে স্পষ্ট করে কোনও কথা বলেননি আনারুল হোসেন। শনিবারই এই ঘটনায় ধৃত আনারুল সহ ২২ জনকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে ধৃতদের আনা হয়েছিল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই পুলিশের ভ্যানে মুখে গামছা জড়িয়ে বসেছিলেন তৃণমূলের এই ধৃত নেতা। সেখান থেকেই আনারুল বলেন, 'বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, ষড়যন্ত্র। সিবিআইকে সহযোগীতা করব।'
তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ হত্যার পর গ্রামে পুলিশকে না ডাকার অভিযোগ উঠেছিল আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে। বগটুইয়ের নৃসংশ হত্যালীলার পর গ্রামবাসীরা আনারুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী সেই গ্রামে গিয়ে আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারাপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেফতারের দাবি করেছিল পুলিশ। যদিও শুক্রবার আদালতে পেশের সময় আনারুল বলেছিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আত্মসমর্পণ করেছি।'
এ দিন অবশ্য ধৃতের দাবি, 'ঘটনার সময় ও পরে বাড়িতেই ছিলাম। আমার কাছে পুলিশকে ডাকতে কোনও ফোন আসেনি।'
আরও পড়ুন- বগটুইকাণ্ড: থ্রি-ডি স্ক্যান, তদন্তে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার CBI-র
আরও পড়ুন- পুলিশমন্ত্রীর সঙ্গে কতবার কথা? জানতে খতিয়ে দেখা হোক অনুব্রতর কলরেকর্ড, দাবি শুভেন্দুর