Anil Basu CPIM leader and MP in Loksabha from Arambagh: বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভারত আর কয়েকদিন পরই লোকসভা নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চলেছে। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ১৯ এপ্রিল প্রথমদফা ভোট। তারপর ৪৪ দিন ধরে ১ জুন পর্যন্ত, সাত দফায় দেশজুড়ে নির্বাচন হবে। ১৪৪ কোটি জনসংখ্যার দেশে ভোটারের সংখ্যা ৯৭ কোটি। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনও হবে। পাশাপাশি, ১৬টি রাজ্যের ৩৫টি আসনে উপনির্বাচনও হবে একইসঙ্গে।
এই নির্বাচনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। অবশ্য বরাবরই লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের অপরিসীম গুরুত্ব থাকে। কারণ, এরাজ্য থেকে ৪২ জন জনপ্রতিনিধি লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করেন। তবে, শুধু সেটাই কিন্তু নয়। এরাজ্য অতীতে লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে রেকর্ড তৈরি করেছে, তা বিরল। তেমনই এক রেকর্ড করেছিলেন হুগলির আরামবাগের সাংসদ অনিল বসু।
১৯৮৪ সালে আরামবাগ থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতে তিনি প্রথমবার সংসদে পা রাখেন। এরপর টানা ছ'বার ওই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আর, কখনও হারেননি। তার মধ্যে আবার ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই সিপিএম প্রার্থী রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ব্যবধান ছিল ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৫০২। যা এরাজ্য তো বটেই। গোটা দেশে রেকর্ড। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের ভদোদরা কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে ৫ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবুও তিনি অনিল বসুর রেকর্ড ভাঙতে পারেননি।
আরও পড়ুন- বড় প্রাপ্তি পরিচয়, অপ্রাপ্তির ভাঁড়ারে কী কী? ভোটের ভারতে ঢু ছিটমহলের অলি-গলিতে
২০০৪ সালে তাঁকে শেষবার প্রার্থী করেছিল সিপিএম। ২০১১ সালে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলেছিল। ২০১২ সালে সিপিএম তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। ২০১৮ সালে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে অনিল বসু প্রয়াত হন। এমনকী, মৃত্যুর পরও তাঁর স্মরণসভায় যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সিপিএমের হুগলি জেলা কমিটি।