বাংলার নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানকে সম্মান জানাবে এসএফআই। বামেদের এই ছাত্র সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে হায়দ্রাবাদে। আগামী ১৩-১৬ ডিসেম্বর হায়দ্রবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্মেলন মঞ্চে বাংলার ছাত্রনেতা আনিস খানকে সম্মান জানাবে এসএফআই।
উল্লেখ্য, এসএফআই-এর ১৭তম সর্বভারতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ১৩-১৬ ডিসেম্বর। হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে ওই সম্মেলন। বাংলার ছাত্র আনিস খানের নামে মঞ্চের নামও স্থির হয়েছে। সঙ্গে আরও দুই ছাত্রনেতাকেও সম্মান জানাবে এসএফআই। আনিসের বাড়ি থেকে সর্বভারতীয় সম্মেলনের বার্তা নিয়ে হায়দ্রাবাদ যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের এসএফআই প্রতিনিধিদল।
সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে, সর্বভারতীয় মঞ্চে আনিসের খুনের বিচার দাবি করা হবে, এই প্রত্যাশা নিয়ে, ছাত্রদের হাতে এসএফআই'এর পতাকা তুলে দিয়েছেন আনিসের বাবা সালেম খান। এই পতাকা যাবে হায়দ্রাবাদে।
হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। আনিসের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশই তাঁদের ছেলেকে খুন করেছে। যদিও পুলিশের দাবি, ছাদ থেকে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রনেতার। তবে পুলিশের এই দাবিকে মান্যতা এখনও নারাজ আনিসের পরিবারের লোকজন। আনিসের মৃত্যুতে রাজ্যের শাসকদলকেই নিশানা করে সোচ্চার হয় বিরোধীরা। বাম থেকে শুরু করে বিরাধী কংগ্রেস, বিজেপি তৃণমূলকে নিশানা করেই আনিস-কাণ্ডে সরব হয়।
একটানা কয়েকদিন ঘরে কলকাতার রাজপথে আনিস মৃত্যুর বিচার চেয়ে পথে নেমেছিল ছাত্রসমাজ। দিনের পর দিন ছাত্রসমাজের সেই বিক্ষোভ-আন্দোলন সামাল দিতে কার্যত হিমশিম দশা হয়েছিল পুলিশ প্রশাসনেরও। আনিস মৃত্যুতেৃ উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। যদিও তারপরেও ক্ষোভ কমেনি আনিসের পরিবারের। তাঁদের এখনও বিশ্বাস, আনিসকে খুন করেছে পুলিশ। এবার আনিসের মতো ছাত্রনেতার প্রসঙ্গ সর্বভারতীয় মঞ্চে উত্থাপন করতে উদ্যোগী হয়েছে বামছাত্র সংগঠন এসএফআই।