ছাত্রনেতা খুনের ঘটনায় উত্তাল আমতা। বিচারের দাবিতে সরব সকলে। দুপুরে আনিস খানের খুনীদের বিচারের দাবিতে আমতা থানা ঘেরাও করে এসএফআইও ছাত্র পরিষদ। পুলিশ বাধা দিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে দেয় প্রতিবাদীরা। তার কিছুক্ষণ পরেই মিছিল করে গ্রামবাসী সহ একটি অরাজনৈতিক মিছিল আমতার থানার সামনে পৌঁছায়। এই মিছিলের পুরভাগে ছিলেন মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা সালেম খান। মুহূর্তে রণক্ষেত্র হয় আমতা থানা চত্বর। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছুড়তে থাতকে। পরে সালেম খানের অনুরোধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
থানার সামনে আনিসের বাবাকে পাশে দাঁড়িয়ে ফুরফুরা শরিফের এক হুজুর এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন। বলেন, 'আনিসের হত্যার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হলেন গ্রামের প্রধান, উপপ্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। আগামী রবিবারের মধ্যে আমতা থানার ওসিকে গ্রেফতার করতে হবে।' এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, 'রবিবারের মধ্যে আমকার ওসি-কে গ্রেফতার করা না হলে হাওড়ার পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হবে। তারপর হবে নবান্নে অভিযান।'
আনিসের বাবা বলেন, 'দুটো নীচুস্তরের পুলিশকর্মীকে ধরে ওরা পার পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওদের তো কেউ পাঠিয়েছিল। তারা কারা? সেটা দেখার জন্য সিবিআই তদন্ত চাই।' উপস্থিত জনতাকে সালেন খানের অনুরোধ, 'পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছুড়বেন না। পুলিশ আমাদের শত্রু নয়। এরপরও যারা ইঁট ছুড়বেন তারা আসলে তৃণমূলের হয়ে দালালি করছেন।'
এরপর তদন্ত সংক্রন্ত দাবি-দাওয়া পেশ করতে আমতা থানায় প্রবেশ করেন আনিসের বাবা সালেম খান সহ বেশ কয়েকজন।
উল্লেখ্য, আনিস মৃত্যুর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার নবান্নে অভিযানের ডাক দিয়েছিল পড়ুয়াদের সংগঠন। যা ঘিরে কলকাতায় ধুন্ধুমার হয়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী, সেই অভিয়ানের সমালোচনা করেন। জানিয়েছিলেন, কিছু হলে সরকার নিরপেক্ষতার সঙ্গে পদক্ষেপ করে। তাই হঠাৎ হঠাৎ আন্দোলনের নামে শহরকে স্তব্ধ করে দেওয়া প্রশাসন বরদাস্ত করবে না। কিন্তু মমতার এই কড়া বার্তার ২৪ ঘন্টা মধ্যেই সেই দাবি আদায়ে সেই নবান্ন অভিযানেরই ডাক দিলেন ফুরফুরা শরিফের হুজুর।
আরও পড়ুন- কার নির্দেশে আনিসের বাড়িতে? বিস্ফোরক বয়ান ধৃত ২ পুলিশকর্মীর