আনিস খানের মৃত্যুর সাত দিন পর তাঁর মোবাইল সিটের হাতে তুলে দিলেন বাবা সালেম খান। শুক্রবার উলুবেড়িয়া জেলের ভিতরে আনিসের মোবাইল হস্তান্তর করেন সালেম খান। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে এদিন চলে ধৃতদের শনাক্তকরণ বা টিআই প্যারেড। তার পর মোবাইল হস্তান্তর করেন তিনি।
প্রথমে টিআই প্যারেডে যেতে অস্বীকার করেছিলেন সালেম। সাফ জানিয়েছিলেন, পুলিশের গাড়িতে তিনি যাবেন না। তার পর আইনজীবীর গাড়িতে যাওয়ার দাবি মেনে নেওয়া হয়। নিজের আইনজীবীর গাড়িতে তিনি উলুবেড়িয়া জেলে পৌঁছন। আড়াই ঘণ্টা ধরে টিআই প্যারেড ও মোবাইল হস্তান্তর চলার পর তিনি বেরিয়ে আসেন।
সালেম খানের আইনজীবীর দাবি, কাউকে চিনতে পারেননি আনিসের বাবা। এদিকে, মোবাইলটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য হায়দরাবাদের ল্যাবে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পাশাপাশি, আমতার সারদা গ্রামে আনিস খানের সমাধিস্থলে নজরদারিতে বসল দুটি সিসিটিভি। লাগানো হয়েছে আলো। মৃত ছাত্র নেতার বাবার দাবি মেনে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। সিসিটিভি-তে সর্বক্ষণ চোখ রেখেছেন এক পুলিশকর্মী।
কেন ছেলের সমাধিতে নজরদারির আবেদন করেছিলেন আনিসের বাবা? পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে, সিবিআই তদন্তে অনড় থাকায় দুদিন আগেই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্র নেতার পরিবারকে হুমকির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। অভিযোগের তির ছিল সারদা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। তাঁরাই নাকি আনিসের দেহ কবর থেকে তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন CCTV নজরদারিতে আনিসের সমাধি, বসল আলো, বাবার দাবি মেনে পদক্ষেপ পুলিশের
আমতা থানার ওসি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ বৃস্পতিবার এঁদের গ্রেফতারির দাবিও থানায় গিয়ে করে এসেছেন বৃদ্ধ। পুলিশের বড় কর্তাদেরও কেউ কেউ তৃণমূলের এইসব জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে রয়েছেন বলে দাবি তাঁর। এই পরিস্থিতিতে ছোট ছেলের সমাধি আগলে রাখতে পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন সালেম খান।
এদিকে আনিসের মৃত্যুর ৬ দিন পর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আমতা থানার ওসিকে। অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আমতার নতুন ওসি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন কিঙ্কর মণ্ডল। আগে আমতা থানার সাব ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। হাওড়া গ্রামীণের স্পেশ্যাল অপারেশনের ওসির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি।