scorecardresearch

পেনসিলের সিসেই তৈরি ক্ষুদ্রতম গনেশ মূর্তি, তাক লাগানো প্রতিভায় সোনার ছেলের বিরাট স্বীকৃতি

একের পর এক সেরার সেরা সৃষ্টি অবাক করেছে সকলকেই। 

অঙ্কন নন্দ, মাইক্রো আর্ট, ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস, মাইক্রো আর্ট,
সোনার ছেলে অঙ্কন

সৃষ্টিতেই লুকিয়ে রয়েছে চমক। আর মুহূর্তেই সেই চমক চমকে দিয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। ছোট থেকে ছবি আঁকা তার কাছে যেন একটা ‘প্যাশন’। সেই ২ বছর বয়স থেকে ছবি আঁকায় হাতেখড়ি। তারপর থেকে একের পর এক সেরার সেরা সৃষ্টি অবাক করেছে সকলকেই। 

বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। অভাব ছিল ছোট থেকেই কিন্তু সৃষ্টি কখনই থেমে থাকেনি। একের পর এক তাক লাগানো শিল্পকর্ম চোখ জুড়িয়েছে সকলের। অবশেষে চ্যালেঞ্জ নিয়ে পেনসিলের সিস দিয়ে গণেশ মূর্তি বানিয়ে রেকর্ড গড়লেন পূর্ব মেদিনীপুরের যুবক অঙ্কন  নন্দ। তার বাড়ি ভগবানপুর ২ ব্লকের মৃগবেড়িয়ায়। তার এই বিরল প্রতিভা ইতিমধ্যে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর স্বীকৃতি পেয়েছে। পেনসিলের সিস দিয়ে তৈরি গণেশ মূর্তির উচ্চতা মাত্র ৭ মিলিমিটার, পুরু ৩ মিলিমিটার।  ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে জানানো হয়েছে অঙ্কনের তৈরি এই মূর্তি ক্ষুদ্রতম মূর্তি হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। BCA পড়ুয়া অঙ্কন এহেন সাফল্যে রীতিমত উচ্ছ্বসিত।  

অঙ্কনের কথায়, “ছোট থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু সৃষ্টির খিদে সব সময় আমাকে যেন তাড়া করে বেড়ায়। মাইক্রো আর্ট নিয়ে অনেক বছর কাজ করছি। স্থানীয় এক দিদি অমৃতা নায়েকের কথাতেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নিজের কিছু আঁকার নির্দশন পাঠাই। সেখান থেকেই পেনসিলের সিসের তৈরি এই গণেশ মূর্তি সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। আমার সাফল্যে পরিবার বাবা,মা খুবই উচ্ছ্বসিত। ছবি আঁকা ছাড়াও রান্না-বান্না করতে খুবই ভাল লাগে”। এ ছাড়াও কয়েন সংগ্রহ অঙ্কনের নেশা।ভবিষ্যতের প্রশ্নে অঙ্কন জানান, “যেহেতু আমি BCA নিয়ে পড়াশুনা করছি, আমার ইচ্ছা ভবিষ্যতে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার”।

ছেলের সাফল্য প্রসঙ্গে বাবা অনুপ কুমার নন্দ বলেন, ‘মাত্র ২ বছর বয়সেই ও আঁকায় ভর্তি হয়। পারিবারিক কারণে সেটা আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু আঁকার প্রতি ওর ভালবাসা ছিল বরাবরই। ও নিজের চেষ্টাতেই মাইক্রো আর্টে একের পর এক কাজ করে। সকলেই ওর কাজের প্রশংসা করত। অবশেষে এল এমন এক সাফল্য। এমন খুশি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না”। মা শোভা নন্দ বলেন, “পড়াশুনার সঙ্গে সঙ্গে আঁকা এমনকী রান্নাতেও ছেলের ঝোঁক। ও যে কাজটাই করে সেটাই মন দিয়ে করে। আর তাতেই সাফল্য এসেছে। আমি চাই ও নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে যাক আরও সফলতা পাক আমাদের অঙ্কন”।

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Westbengal news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Ankan nanda got india book of records for his miroartwork