জলপাইগুড়ি শববহন-কাণ্ড অবশেষে জামিন পেলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রিন জলপাইগুড়ির কর্ণধার অঙ্কুর দাস। গত বুধবার রাতে অঙ্কুরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপর পাঁচ দিন শেষে রবিবার অঙ্কুরকে বিশেষ আদালতে তোলা হয়। আদালতে আরও পাঁচ দিনের হেফাজতে চান পুলিশকর্মীরা। কিন্তু, আদালত সেই আর্জি নাকচ করে অঙ্কুরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।
জামিনে মুক্তির পর বাইরে এসে সাংবাদিকদের অঙ্কুর বলেন, 'পুলিশ প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে আমাকে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশের এই আচরণের আমি তীব্র নিন্দা জানাই। গত ছ'দিন ধরে পুলিশ পুলিশ প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, জলপাইগুড়ির মানুষ আমার পাশে ছিলেন। তাঁদের স্যালুট জানাই। কারণ, এটা সত্যের জয়। আর, আমার মুক্তি সেই জয়ের প্রথম ধাপ।'
সপ্তাহ দুয়েক আগে জলপাইগুড়ির একটি মর্মান্তিক ঘটনায় রীতিমতো শিহরিত হয়ে পড়েছিল গোটা বাংলা। অর্থাভাবে মায়ের দেহ শববাহী গাড়িতে নিয়ে যেতে না-পারায় কাঁধে তুলেই শ্মশানের পথে রওনা দিয়েছিলেন দিনমজুর ছেলে। সেই খবর চাউর হতেই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তারা শববাহী গাড়ি দিয়ে ওই যুবক ও মৃত মহিলার স্বামীকে সাহায্য করেন। সেই মর্মান্তিক ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসে।
এরপরই গোটা ঘটনাটি সাজানো বলে অভিযোগ ওঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির বিরুদ্ধেই। সেই অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাসকে। সাহায্যকারীকে কেন গ্রেফতার করা হল, সেই গ্রেফতারি নিয়ে উঠে আসে প্রশ্ন। জামিনের পরও অঙ্কুর কিন্তু তাঁর নিজের বক্তব্যেই অনড়।
আরও পড়ুন- রামচরিতমানসকে বিভেদমূলক পাঠ্য বলে বিতর্কে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী, সরাতে নারাজ আরজেডি
রবিবার আত্মবিশ্বাসের সুরে তিনি বলেন, 'সেদিন লক্ষ্মীদেবী দেওয়ানের মৃতদেহ নেওয়ার জন্য ৩,০০০ টাকা ভাড়া চাওয়া হয়েছিল। ওঁর ছেলে ১ হাজার ২০০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাতেও রাজি হয়নি। সেই সব গাড়ি এখন কিলোমিটার প্রতি ১৭ টাকা ভাড়ায় খাটছে। তাহলে সেদিন গেল না কেন? দিনের পর দিন জলপাইগুড়িবাসীর রক্ত চুষছে অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের শাস্তি না-দিয়ে আমায় কেন গ্রেফতার করা হল, এবার সেটা দেখব।'