মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন সত্ত্বেও ভোট পরবর্তী হিংসা রাজ্যে। রবিবার ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজনৈতিক হিংসায় রক্ষ ঝরছেই। মঙ্গলবার গভীর রাতে আলিপুরদুয়ারের মথুরায় খুন হলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। অভিযোগের তির বিজেপি আশ্রিত দুষ্কতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে একজনকে।
জানা গিয়েছে, গভীর রাতে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আলিপুরদুয়ারের ১ নং ব্লকের তৃণমূল নেতা দীপক রায়। গাড়িতে তাঁর সঙ্গে কয়েকজন বন্ধুও ছিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে সোনাপুর এলাকায় তাঁর গাড়ি আটকায় একদল দুষ্কৃতী। তারপর গাড়িতে হামলা করে তারা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় দীপক রায়কে। পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁর সঙ্গীরা।
গভীর রাতে এই ঘটনায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের কর্মীকা। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন দীপক। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দীপক রায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই দীপককে খুন করেছে পরিকল্পিতভাবে। দোষীদের উচিত শাস্তির দাবি জানান জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী।
এদিকে, বুধবার শপথ নেওয়ার পরই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘বাংলা হিংসা পছন্দ করে না। সবাই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। না হলে পদক্ষেপ করা হবে।’ আরও বলেন, ‘কোথাও কোথাও ভোটের পরে গোলমাল হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলকে বলব শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। বাংলা অশান্তি পছন্দ করে না। কেউ কোথাও অশান্তি করবেন না। কেউই প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না। হিংসা ছড়ালে সরকার কড়া পদক্ষেপে পিছপা হবে না।’