পাঁশকুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে। দলের ব্লক সভাপতির অপসারণের দাবিতে এলাকায় মিছিল তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর। দলের নেতার অপসারণ চেয়ে শাসকদলেরই একাংশের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ বিরোধীদের। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কোন্দল এভাবে প্রকাশ্যে এসে পড়ায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গত সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক কমিটি তৈরি হয়। সেই কমিটি তৈরি করেছিলেন পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায়। সুজিত রায়ের কমিটি গঠনের পরেই দলের একাংশের নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এরপর পাঁশকুড়ার মাইশোরা অঞ্চল তৃণমূলের কর্মীরা দলের ব্লক সভাপতির অপসারণের দাবিতে মিছিল করেন। নিহত তৃণমূল নেতা কুরবান আলী শা'য়ের অনুগামীদের ব্লক কমিটি কিংবা অঞ্চল কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁদের।
আরও পড়ুন- অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার টাকা জোটেনি, রোগীকে ট্রেনেই নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, স্টেশনেই মৃত্যু প্রৌঢ়ার
তাঁদের আরও দাবি, এক সময়ে বিজেপির হয়ে ভোটের কাজ করা কর্মীরাই এখন তৃণমূলের পদ পেয়েছেন। মাইশোরা এলাকায় উন্নয়নের কাজ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায়ই আটকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ক্ষুব্ধ তৃণমূলকর্মীদের একাংশ।
আরও পড়ুন- প্রকৃতির কোলে এযেন স্বর্গসুখ! পাহাড় ঢালের সবুজে সবুজ এগ্রামে বাঁধা পড়ে মন!
যদিও এই বিষয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায় বলেন, 'যদি কারও ক্ষোভ থাকে সেটা জেলা সভাপতিকে জানাবে। এমনকী রাজ্য সভাপতিকেও জানানো যাবে। মিছিল করবে কেন? যারা মিছিল করেছে তাঁরা শুভেন্দু অধিকারীর জামা পরেছিলেন। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী তাঁরাই জায়গা পেয়েছেন।' যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ''কাটমানির ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই তৃণমূলের এই দশা।'