অ্যান্টিভাইরাস পুজো মণ্ডপ। যা দেখতে উপচে পড়া ভিড়। এবার চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো সেরা আকর্ষণ হাটখোলা মনসাতলার জগদ্ধাত্রী আরাধনা।
Advertisment
৬০তম বর্ষে ১০০০ কিলো হলুদ দিয়ে তৈরি হয়েছে চন্দননগর হাটখোলা মনসাতলার পুজো মণ্ডপ। তিন মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে শিল্পীরা অসাধারণ মণ্ডপ গড়ে তুলেছেন। পুজোর বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।
মণ্ডপ সজ্জায় কেন এমন অভিনব ভাবনা? হাটখোলা মনসাতলার পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষে সহ সম্পাদক লাল্টু সরকার বলেন, 'ছোট থেকেই জানি যে হলুদ অ্যান্টিবায়োটিক। এর ব্যবহার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। রান্নায়তো হলুদ লাগেই। মা জগদ্ধাত্রী অশুভ শক্তি বিনাশ করেন। তাঁর চারহাতে অস্ত্র থাকে। আমরা হলুদকে একটা অস্ত্র মনে করছি। কারণ হলুদ শরীরের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। বর্তমান করোনা আবহে হলুদ একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। এখনো করোনা ভাইরাস যায়নি। স্যানিটাইজড গেট করার পরও সম্পূর্ণ মেডিকেটেড আমাদের এই পুজো মণ্ডপ। এখানে চারধারে যেহেতু হলুদের সমাহার তাই মণ্ডপের ভিতরটা সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত। এসমস্ত ভাবনা থেকেই এবারে হীরক জয়ন্তীবর্ষে অ্যান্টিবায়োটিক মণ্ডপ উপহার দিয়েছিন দর্শনার্থীদের।'
ভাবনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হয়েছে প্রতিমার সাজও। প্রতিমার সাজে থার্মোকল নয়, সাবেকি প্রথায় পরিবেশবান্ধব শোলার কাজ করা হয়েছে। মণ্ডপের প্রবেশ পথে জ্বলন্ত উনুনের ওপর দুটি বিশালাকার হাড়িতে রান্না চলছে। সবটাই হয়েছে আলো এবং হস্তশিল্পের কারিকুরিতে। যেখানে সেলফি তোলার ধুম।