মঙ্গলবারই ইডি হেফাজত শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। তার আগে রবিবার রাতে হঠাৎ ইডি হেফাজতে থাকাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল। রাতটা কোনওমতে কাটিয়ে সোমবার সকালে তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। আপাতত হাসপাতালেই চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় কাবু বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি, এমনই খবর ইডি সূত্রের।
গরু পাচার মামলায় গত বছরের ১৪ মার্চ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আসানসোল সংশোধনাগারে থাকাকালীন তাঁকে 'শ্যোন অ্যারেস্ট' করে দিল্লিতে নিয়ে যায় ইডি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশ মতো বাংলা থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় কেষ্টকে।
আরও পড়ুন- চুক্তিতে নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেই, নিরাপত্তা প্রশ্নে তোলপাড় ফেললেন শুভেন্দু
তবে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া ইস্তক জেলে নয়, ইডি সাধারণ একটি ঘরেই রেখেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে আগামিকাল তাঁকে রাউস অ্যভিনিউ কোর্টে হাজির করানোর কথা রয়েছে। ইডির হেফাজত শেষে এবার কেষ্টকে জেলে পাঠাতে পারেন বিচারক। সেক্ষেত্রে তিহাড় জেলই হতে পারে একদা তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতার পরবর্তী ঠিকানা।
আরও পড়ুন- ‘সাংঘাতিক তথ্য’ CBI-এর হাতে ? আঁচ পেয়েই হাজিরা এড়ালেন ‘কালীঘাটের কাকু’?
তার আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তৃণমূল নেতা। গরু পাচার মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল কেষ্টর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। বর্তমানে সায়গলও তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। দিন কয়েক আগেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর হিসাবপরীক্ষক মণীশ কোঠারিও। অন্যদিকে, সোমবার দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তবে এদিন তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন।