ফের জেলেই কেষ্ট। গরু পাচার মামলায় ফের এক দফায় জেল হেফাজতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। আপাতত আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের। এদিন জামিনের কোনও আবেদনই করেননি অনুব্রত মণ্ডল।
কেষ্টর হল কী? জামিনের আবেদনও করলেন না…আবার তাঁর কিছু বলার আছে কিনা জানতে চাইলে বিচারকের উদ্দেশ্যে ঘাড় নেড়ে বললেন 'না'। এদিন আসানসোল আদালতে তোলার সময় অনুব্রত মণ্ডলকে চুপচাপ থাকতেই দেখা গিয়েছে। আদালতে ঢোকা ও বেরনোর পথে সাংবাদিকদের সামনেও মুখ খোলেননি কেষ্ট। অন্যদিকে, আদালত চত্বরে থাকা তাঁর অনুগামীরাও এদিন দাদার হয়ে বিশেষ একটা গলা ফাটাননি।
এদিন কোর্টে নতুন করে আর জামিনের আবেদন করেননি অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। সিবিআই আইনজীবীর বক্তব্য এবং কেষ্টর আইনজীবীর সওয়াল শোনার পর বিচারক ফের অনুব্রত মণ্ডলকে এদিন ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগমী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফের এক দফায় জেল-জীবনে তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন- ‘হাতে বোমা-বন্দুক দিচ্ছে, তৃণমূলের আমলে বঞ্চিত সংখ্যালঘুরা’, মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
দিন কয়েক আগেই তাঁরই জেলায় সফর করে গিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল সুপ্রিমোর এবারের বীরভূম সফরে কেষ্ট ছিলেন পুরোপুরি ব্রাত্য। কোথাও কোনও ছবি-কাটআউট চোখে পড়েনি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। তাঁর বদলে তৃণমূল সু্প্রিমোর পাশে সিউড়ি-সহ বীরভূমের একাধিক জায়গায় চোখে পড়েছে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও বীরভূম জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর ছবি। তবে কি কেষ্টকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল? উত্তর স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিতটা কিন্তু রয়েছে।
অনুব্রত-হীন বীরভূমে এবার ফের নয়া কোর কমিটি গঠন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আগে এই কমিটিতে চারজন থাকলেও এবার তা বেড়ে হয়েছে ৭। কোর কমিটিতে ঢুকেছেন কেষ্টর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা কাজল শেখ এবং বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। গত বছরের অগস্ট মাস থেকে জেলে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, বর্তমানে সিবিআই-ইডির মামলার গেরোয় আষ্ঠেপৃষ্টে জড়িয়েছেন কেষ্ট।
আরও পড়ুন- পড়ানো লাটে তুলে রাঁধুনির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক! অভিযোগে তুমুল বিক্ষোভ
কবে তাঁর জেলমুক্তি ঘটবে, কেউ জানে না। এই পরিস্থিতিতে কেষ্টকে বয়ে নিয়ে যাওয়া আপাতত তৃণমূলের কাছে বিড়ম্বনা ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং কেষ্ট ছাড়াই দল বীরভূমে কীভাবে চলতে পারে সেদিকেই এখন মনোনিবেশ করেছে জোড়াফুলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলার কোর কমিটিতে কেষ্ট বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা কাজল শেখকে এনে তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।