হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অসুস্থ নন অনুব্রত মণ্ডল, সাফ জানিয়েছিল এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড। তবে ক্রনিক কিছু সমস্যা রয়েছে তৃণমূল নেতার। তার চিকিৎসা বাড়িতে থেকেই সম্ভব বলে জানান চিকিৎসকরা। সোমবার এর কিছুক্ষণের মধ্য়েই হাসপাতাল ছাড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। হাসপাতাল চত্বরে অনুব্রতকে দেখেই বিদ্রূপ ভেসে আসে। 'গরু চোর, গরু চোর' বলে বিধ্রূপ ধেয়ে আসে তৃণমূল নেতার দিকে।
শারীরিক কিছু সমস্যা নিয়ে সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে যান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের গলা, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছিল। আজই তাঁর সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতাকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এবারও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই সিবিআই হাজিরা এড়িয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতা। সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে আজ সটান তিনি তলে যান এসএসকেএম হাসপাতালে।
গতকালই বীরভূমের বাড়ি থেকে কলকাতার চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে এসে উঠেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আজ সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে তিনি যান এসএসকেএম হাসপাতালে। অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন- ফের CBI হাজিরা এড়াচ্ছেন অনুব্রত, ‘বিপদের’ গন্ধ পাচ্ছেন? স্পষ্ট নয়
তাঁকে দেখার পর চিকিৎসকরা জানান, এখনই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই তৃণমূল নেতার। অনুব্রত মণ্ডলের স্ট্রেসও নেই। কিছু ক্রনিক সংস্যা রয়েছে তাঁর, সেই চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন না চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বীরভূম ও কলকাতার মোট ১৩টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। সেই তল্লাশিতে নগদ ১৭ লক্ষ টাকা, হার্ডডিস্ক, ১০টি মোবাইল ফোন, বেশ কয়েকটি পেন ড্রাইভ উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মিলেছে বেশ কিছু নথিও। বীরভূমের তৃণমূল নেতা তথা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েকজনের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই তল্লাশিতেও বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই সব নথির উপর ভিত্তি করেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন- শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, ভারী-অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস একাধিক জেলায়
আজই তাঁকে নিজাম প্যালেসের অফিসে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তবে সিবিআইকে ইমেল করে হাজিরা এড়ানোর কারণ জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।