জেলে ছিলেন, ফের জেলেই গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে রাখার নির্দেশ আসানসোলের সিবিআই আদালতের। অর্থাৎ কেষ্ট মণ্ডলের জেলযাপনের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়াল আদালত। আজ অবশ্য জামিনের আবেদন করনেনি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। তবে তাঁর শরীর ভেঙেছে, আদালতে ঢোকার মুখে ছবিতেই তা স্পষ্ট চোখে পড়েছে।
আবারও জেলেই অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে চলতি বছরের অগাস্ট মাসে বীরভূমের বাড়িতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। গ্রেফতারের পর থেকে বারবার জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন কেষ্ট মণ্ডল। যদিও বারবার তাঁর সেই আবেদন নাকচ করেছেন আসানসোলের সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক। শুক্রবার তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের তাঁকে তোলা হয়েছিল আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে।
এদিন আদালতে তাঁর মোবাইল ফোনটি ফেরত চেয়ে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল। একই সঙ্গে তাঁর ফ্রিজ হয়ে যাওয়া একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও চালু করার আবেদন জানান তৃণমূল নেতা। যদিও অনুব্রত মণ্ডলের মোবাইল ফোনটি তদন্তের কারণেই এখনই ফেরত দেওয়া যাবে না বলে আদালতে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। তা শুনে বিচারক জানান, অনুব্রত মণ্ডলের মোবাইল ফোন ফেরত নিয়ে পরের দিন শুনানি হবে।
আরও পড়ুন- অগ্নিমিত্রাদের নামে একের পর এক FIR, শেষমেশ গ্রেফতারে ছাড় পুলিশকে? কী নির্দেশ আদালতের?
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে বারবার জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও প্রতিবারই তৃণমূল নেতার জামিনের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন সিবিআই আইনজীবী। অনুব্রত মণ্ডল অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। তিনি জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ সিবিআইয়ের।
এদিকে, ফি বারের মতো শুক্রবারও আসানসোল আদালতের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। তবে এদিন অবশ্য তাঁদের কারও সঙ্গেই কথা বলতে দেখা যায়নি অনুব্রতকে। বরং এদিন বেশ চুপচাপই ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। বরং তাঁর শরীর আগের চেয়ে বেশ খানিকটা ভেঙেছে বলেই ছবিতে ধরা পড়েছে।