শরীর-মন দুই-ই ভালো নেই। সিবিআই-ইডি মামলার পর মামলা ঠুকছে, চার্জশিট জমা দিচ্ছে। আদালত-জেল যাতায়াত একপ্রকার জল-ভাত হয়ে গিয়েছে। আশু জামিন এখন স্বপ্নই ঠেকছে কেষ্টর কাছ। এই পরিস্থিতিতে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের ওজন কমছে হু-হু করে।
জেলে আসার আগে অবধি যতবারই শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন, প্রতিবারই আগে তাঁর ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে কেষ্টর ওজন কমেনি। কিন্তু গত দু'মাসের জেল-জীবনে অইনেকটাই ঝরঝরে অনুব্রত মণ্ডল।
বেশি ওজন থাকার জন্য শারীরিক নানাবিধ সমস্যা জটিল আকার নিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেয়ে চলায় শ্বাসকষ্ট, ফিসচুলার মতো নানাবিধ সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।
গরু পাচার মামনলায় আষ্ঠেপৃষ্টে নাম জড়িয়েছে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। তদন্তে নেমে কেষ্ট মণ্ডলের নামে-বেনামে পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই-ইডি। শুধু তাঁর নামেই নয়, অনুব্রতর স্কুল-শিক্ষিকা কন্যা ও প্রয়াত স্ত্রীর নামেও সম্পত্তির পাহাড়ের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- ‘চেষ্টা করলেও হয়তো পাত্তা পায়নি,’ সৌমিত্রর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে মন্তব্য সুজাতার
শেষমেশ গরু পাচার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চলতি বছরের অগস্ট মাসে সিবিআই বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। সিবিআই জিম্মায় গত দু'মাস ধরে কেষ্ট মণ্ডলের বর্তমান ঠিকানা আসানসোল সংশোধনাগার। দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোও গারদের পিছনেই কাটাতে বাধ্য হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই জেল জীবনই এবার তাঁর 'হেভিওয়েট' তকমা খানিকটা হলেও ঘুঁচিয়েছে। এক ধাক্কায় ৯ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেছেন অনুব্রত মণ্ডল।
গত দু'মাসে মোট ৯ কিলো ওজন কমেছে তাঁর। জেল সূত্রে খবর, অগাস্টে গ্রেফতারের পর বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির ওজন ছিল ১১০ কিলো। অক্টোবরে তা কমে হয়েছে ১০১ কিলো। অর্থাৎ গত দু'মাসে জেলবন্দি দশায় এক ধাক্কায় ৯ কিলো ওজন কমেছে কেষ্ট মণ্ডলের।