গরু পাচার দুর্নীতি মামলায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে গারদে অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু জেলবন্দি কেষ্টকে দলে 'বাঘ' বলে সম্বোধন করা হয়েছে। পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও খাতায় কলমে তিনি এখনও জেলা সভাপতির পদে বহাল। কিন্তু বীরভূমের সংগঠনের হাল ধরতে ময়দানে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে তৃণমূলের জেলা সংগঠনের কর্তৃত্বের রেশ। অনুব্রত 'বিরোধী' নানুরের কাজল শেখ দলের গুরুত্ব পেয়েছেন। জেলা সভাধিপতিও তিনি। সেই কাজলের খাসতালুক নানুরেই অবাককাণ্ড। তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকেই মোছা হচ্ছে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি!
Advertisment
শুক্রবার নানুনের হোসেনপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসের ছবি পোস্ট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জোড়-ফুলের দলীয় কার্যলয়ের বাইরের দেওয়ালের একদিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। চার পাশের আরেকটি ছবির জায়গায় রং লেপা রয়েছে। অনুপম হাজরার দাবি, ওই জায়গায় ছিল অনুব্রত মণ্ডলের মুখ। যেখানে সাদা রং লেপে দেওয়া হয়েছে।
ওই ছবি পোস্ট করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা লিখেছেন, 'নানুরের হোসেনপুর গ্রামের তৃণমূল কার্যালয়ে অনুব্রত মন্ডলের ছবি মুছে ফেলা হলো !!! দিদিমণি তো আগেই মুছে দিয়েছেন মন থেকে,এবার দেওয়াল থেকে মোছা শুরু !! আস্তে আস্তে permanently "ছবি" হয়ে যাবেন !! তৃণমূলে একটাই নীতি - চুরি করে যতদিন তুমি পার্টিকে দিতে পারবে ততদিন তুমি "Good Boy" আর ধরা পড়লেই পার্টি তোমাকে চেনে না !!!'
অনুপমের দাবি মতো সত্যি-ই কী এই ছবি জেলার সর্বত্র দেখা যাবে? আপাতত সেদিকেই নজর রাজনীতির কারবারিদের। এছাড়াও দেখার, বীরভূম তৃণমূলে কি অনুব্রত মণ্ডলের পাকাপাকি বিকল্প নানুরের কাজল শেখ? পঞ্চেয়েত ভোটের পর থেকে এই নিয়েও জোর জল্পনা।