আক্রমণই প্রতিরোধের সেরা কৌশল। গরু পাচার মামলায় দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকে। দিল্লির আদালতে আবেদনও জানিয়েছে ইডি। এ দিনই ছিল সেই মামলার শুনানি। ফলে চাপ বাড়ছিল বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির উপর। জেরার জন্য দিল্লি যাত্রা রুখতে এবার পাল্টা চাপ বাড়ানোর চেষ্টায় কেষ্ট। তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরার আবেদন জানিয়ে দিল্লির নিম্ন আদালতে ইডির তরফে যে আবেদন জানানো হয়েছে তাকে চ্য়ালেঞ্জ করে এবার দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করলেন অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের এই নেতার হয়ে এ দিন সওয়াল করেছেন প্রখ্যাত আইনজীবী কপিল সিব্বল। উচ্চ আদালতে মামলা হওয়ায় এ দিন দিল্লির নিম্ন আদালতে মামলার শুনানি হচ্ছে না।
গরু পাচার মামলাটি পশ্চিবঙ্গের, তাহলে কেন দিল্লি নিয়ে এসে অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি জেরা করতে চায়? এই প্রশ্নে ইডি-র বিরুদ্ধে জোর সওয়াল করেন কপিল সিব্বল। বাংলাতেই কেষ্টকে জেরার কথা বলেন তিনি। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেন বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি। ইডি-র যুক্তি সেহগালের মুখোমুখি বসিয়ে দেরার ক্ষেত্রে অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে আসার তোড়জোড়।
নিম্ন আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ নভেম্বর। এরমধ্যে উচ্চ আদালত থেকে অনুব্রত কোনও নির্দেশ পান কিনা সেদিকে চোখ থাকছে।
গত সপ্তাহেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। অনুব্রতর নামে, বেনামে সম্পত্তির উৎস, লটারি জেতার সত্যতা নিয়ে আসানসোল জেলে তৃণমূল নেতাকে প্রশ্ন করা হলেও সদুত্তোর মেলেনি বলে দাবি ইডির গোয়েন্দাদের। এরপরই সিবিআইয়ের পর কেষ্ট মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপরই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তৃণমূল নেতার নামে 'প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট' জারির আবেদন করে ইডি। সেই আবেদন গ্রহণ করলেও কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। এরপরই এ দিন দিল্লির হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত মণ্ডল।
গরু পাচার মামলায় গত ১১ অগাস্ট বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর থেকে কখনও সিবিআই হেফাজতে, আবার কখনও জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। বর্তামানে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ইতিমধ্যেই অনুব্রত কন্যা সুকল্যাকে দিল্লিতে তলব করে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।