তিনি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। তাঁর এক কথায় বীরভূমে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত। এতটাই তাঁর প্রতাপ ছিল যে বীরভূমের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতিও তাঁকে মেনে চলত। এহেন অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এদিকে, এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার প্রতিবাদে বন্ধ হয়ে গেল সোনাঝুরি হাটও।
Advertisment
প্রতি শনিবার করে বসে রবিতীর্থ শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাট। এখন সারা সপ্তাহই চলে এই হাট। বর্ষার সময় গম গম করে এই হাট। প্রচুর পর্যটক আসেন এই হাটে। কিন্তু অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার জেরে প্রতিবাদে হাট বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে হাট কমিটি। আগাম নোটিস ছাড়াই হাট বন্ধ রাখার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বহু পর্যটক। এদিন হাটে এসে বন্ধ দেখে ফিরে গিয়েছেন অনেকে।
শুধু বীরভূম নয়, গোটা বাংলা থেকে মানুষ বেড়াতে আসেন শান্তিনিকেতনে। আর পর্যটকদের বড় পছন্দের জায়গা এই হাট। সপ্তাহান্তে ভাল ব্যবসা হয় এখানে। কিন্তু হাট বন্ধ থাকায় মন খারাপ পর্যটকদের। হাট কমিটি জানিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারিতে মাঝে-মধ্যেই হাট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ চলবে।
প্রসঙ্গত, এই হাট এই অঞ্চলের আদিবাসীদের রুজি-রুটির একমাত্র পথ। দোকানিদের পাশাপাশি আদিবাসী নৃত্য পরিবেশন হয় এখানে। পর্যটকরা কোমর দোলান আদিবাসী নৃত্যের তালে তালে। বেশ রোজগার হয় নৃত্যশিল্পীদের। এছাড়াও এখান থেকে কলকাতায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বায়নাও পান তাঁরা। স্বাভাবিক ভাবে হাট বন্ধ থাকলে তাঁদের রুজি-রুটিতে টান পড়বে।
উল্লেখ্য, একথা অনস্বীকার্য যে সোনাঝুরি হাট বা পৌষমেলা, এসবের পিছনে অনুব্রতর অবদান রয়েছে। দোকানিদের সাহায্য করা, প্রশাসনকে দিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতে ঠিক মতো ব্যবসা করতে পারেন সেসব দেখা, কারও কোনও সমস্যা হলে টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করা সেগুলো করতেন অনুব্রত। এবার তাঁর গ্রেফতারিতে স্বাভাবিক ভাবে চিন্তায় হাট কমিটি।