জেল হেফাজতে অনুব্রত, এবার তিহাড়ের গরাদেই বীরভূমের 'বাঘ'

চিহাড় জেলে দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির প্রতিবেশী কেষ্ট।

চিহাড় জেলে দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির প্রতিবেশী কেষ্ট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
anubrata mondal at tihar jail. তিহাড় জেলে অনুব্রত মণ্ডল

শত চেষ্টাতেও লাভ হল না।

দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজত শেষে মঙ্গলবার জেল হেফাজতে পাঠানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে। ১৩ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে তাঁর। ফলে এদিন থেকেই গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির ঠিকানা তিহাড় জেল।

Advertisment

অনুব্রত মণ্ডলের তরফে এদিন আদালতে আবেদন করা হয় যে, সে ৪টি ব্যাগ নিয়ে চিহাড় জেলে যেতে চান। ওইসব ব্যাগে অনুব্রতর ওষুধপত্র ও বেশ কিছু জিনিস রয়েছে বলেও জানানো হয়। যা শুনে বিচারকের নির্দেশ, শুধু কি ওষুধই, নাহলে কী কী জিনিস সে তিহাড়ে নিয়ে যেতে চান তা জেল কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে।

গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় বলে আগেই আবেদন করেছিল ইডি। তারপর তা নিয়ে চলে বিস্তর টানাপড়েন। হাইকোর্ট, দিল্লি কোর্ট ঘুরে সুপ্রিম কোর্টেও দিল্লি যাত্রা এড়ানোর জন্য আবেদন করেন কেষ্ট মণ্ডল। তবে সব জায়গায় ধাক্কা খাওয়ার পর অবশেষে চলতি মাসের ৭ তারিখ, দোলের দিন বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। 

তারপর থেকে ইডি হেফাজতে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে।

Advertisment

অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে একই মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডি। আদালতের নির্দেশে তাঁরা এখন তিহাড় জেলে রয়েছেন। সেই তিহাড়ের কারাগারেই তাঁদের অনুব্রতও প্রতিবেশী হচ্ছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি।

সূত্রের খবর, হেফাজতে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেননি অনুব্রত। ইডি চেয়েছিল অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে। কিন্তু সুকন্যা বারবার হাজিরা এড়ানোয় সেটা সম্ভব হয়নি।

Anubrata Mandol Tihar Jail Cattle Smuggling Cow Smuggling anubrata mondal