/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/08/Anubrata-Jail.jpg)
আবারও জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল।
যতই তাঁকে প্রভাবশালী তকমা দিক সিবিআই, নিজেকে সাধারণ মানুষ প্রমাণ করতে মরিয়া অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে জামিনের শুনানিতে অভিনব দাবি করলেন অনুব্রতর আইনজীবী। জানালেন, "প্রয়োজনে বীরভূমে থাকবেন না। নিজাম প্যালেসের পাশে বাড়ি করে থাকবেন অনুব্রত।" বীরভূমের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢুকবেন না অনুব্রত মণ্ডল বলে জানালেন আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। কিন্তু ধোপে টিকল না আইনজীবীর আবেদন। অনুব্রতকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। ৭ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে।
এদিন আদালতে সরকারি কৌঁসুলি বলেন, "এখন তদন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছে। এখন অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। এটি একটি বৃহত্তর পরিকল্পতি ষড়যন্ত্র। অভিযুক্ত আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি। বিপুল সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ ও বাড়ির লোকদের নামে। কিন্তু অভিযুক্ত কিছুই বলতে পারছেন না। অভিযুক্ত প্রভাবশালী। শুরু থেকেই তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। তদন্তে অংশই নেননি তিনি।"
এর উত্তরে বিচারক এদিন বলেন, "হ্যাঁ, এটা সবাই জানি।" সরকারি আইনজীবী এও জানিয়েছেন, "পশুর হাট থেকে গরুপাচার হত। তার প্রমাণ আছে। বিএসএফ-ও জড়িত।" এদিন দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারক রায়দান স্থগিত রাখেন। পরে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয় অনুব্রতকে। তার আগে অনুব্রতকে আরও ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই। পাল্টা অনুব্রতর স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে বলে আদালতে জানিয়েছেন অনুব্রতর আইনজীবী। এত কারও প্রাণও যেতে পারে। তাই যে কোনও শর্তে মক্কেলের জামিনের মঞ্জুর করা হোক অনুব্রতর।
আরও পড়ুন শক্তিগড়ে অনুব্রতকে নিয়ে ধাবায় সিবিআই অফিসাররা, ডালপুরি-লিকার চা খেলেন কেষ্ট
পশু হাট থেকে গরু কেনার বিষয়ে অনুব্রতর আইনজীবী আদালতে জানান, "পশুর হাট থেকে গরু কিনে সীমান্ত পার করা হলে আমার মক্কেলের ভূমিকা কোথায়, সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার রোখার দায়িত্ব বিএসএফ-এর। আমার মক্কেল সেফ প্যাসেজ করে দিতেন তার প্রমাণ নেই। শুধু একজন বিএসএফ কমান্ডান্ট গ্রেফতার হয়েছে। আর কেউ হননি। সায়গল হোসেনের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থাকলে আমার মক্কেলের কী দোষ! আমার মক্কেলকে সবাই চেনেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চেনেন এটা কী তাঁর দোষ?"