অনেক চেষ্টা করেও তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও ভাবেই অনলাইনে সংযোগ করতে পারল না আসানসোল আদালত। ফলে গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলএবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদনই করতে পারলেন না আইনজীবীরা।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১০ অগাস্ট।
গরুপাচার মামলায় গত অগাস্ট থেকে বন্দি অনুব্র়ত। বারে বারে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। এসবের মধ্যেই আবার অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নতুন তথ্য দিয়েছে সিবিআই। তারা আদালতকে জানিয়েছে, বীরভূমে একটি পেট্রল পাম্প অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে রয়েছে। এ ছাড়াও খন্দকার কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানিতে প্রচুর নগদ টাকা জমা হয়েছে। যার তথ্য সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছে।
ওই কোম্পানির মালিক সায়গলের শ্যালক বলে জানা গিয়েছে। এর আগে অনুব্রতের নামে চারটি পেট্রল পাম্প থাকার কথা দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আবার নতুন একটি চালকলের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। এই চালকলের সঙ্গে কেষ্টর চালকলের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল বলে দাবি। আদালতে তারা জানায় পুরনো যে চুক্তিপত্র পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি বিভিন্ন ভাবে হাত বদল হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা বাজার মূল্য রয়েছে ওই জমিগুলির। এবং সিবিআই 'সব থেকে বড় বিষয়' বলে বিচারককে জানিয়েছে, ওই জমিগুলোর রেজিস্ট্রি হয়েছ নগদ টাকায়। প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থে জমির রেজিস্ট্রি হল, কিন্তু তা নিয়ে কেন রেজিস্ট্রি অফিস কোনও এই প্রশ্ন তুলল না, তাই দেখে 'বিস্মিত' তদন্তকারীরা।