ভোট হোক বা রাজ্যের ঘটনাবহুল নানা বিষয়- অনুব্রত মণ্ডল মুখ খুললেই হিট। বেশিরভাগ সময়ই সেসব বাণী ঘিরে নানা বিতর্ক হত। শাসক থেকে বিরোধী শিবির জোর চর্চা করত। কিন্তু, অবিচল থাকতেন মমতা প্রিয় 'কেষ্ট'। আজ সেই বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিই গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই জালে। তারপরই আনন্দে মেতেছে বিজেপি। রাজ্যের নানা প্রান্তে চলছে গুড়বাতাসা, নকুলদানা বিলি।
Advertisment
একনজরে অনুব্রতর বাণী-
'ভয়ঙ্কর খেলা হবে'
একুশের বিধানসভা ভোটের ২০০ আসন জেতার দাবি করেছিল বিজেপি। পাল্টা 'খেলা হবে' স্লোগান তোলে তৃণমূল। দলের স্লোগানে আরও মাত্রা যোগ করেন অনুব্রত। বলেছিলেন 'ভয়ঙ্কার খেলা হবে।' যা ঘিরে জোর বিতর্ক হয়। বিরোধী শিবির অভিযোগ করে বলেছিল- ভোটে সন্ত্রাসের ইঙ্গিত রয়েছে বীরভূম জেলা সভাপতির কথায়।
'শুঁটিয়ে লাল'
২০২০ সাল। জেএনইউ-তে এবিভিপি-র তাণ্ডব দেখে রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিলেন অনুব্রত। বলেছিলেন, 'জেএনইউয়ে যা করার করেছে, ক্ষমতা থাকলে এখানে করে দেখাক, করুক তো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে, করুক তো বিশ্বভারতীতে, করুক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুঁটিয়ে লাল করে দেব।'
'নকুলদানা'
২০১৯ সালের লোকসভা ভোট। বঙ্গে গেরুয়া প্রভাব লক্ষণীয় ছিল। ভোটের ফলেও তার রেশ দেখা যায়। তখনই অনুব্রত মণ্ডল নকুলদানা তত্ত্বের কথা বলেন। কেষ্ট বলেছিলেন, 'নকুল দানা খেলে আঙুল অন্য কোথাও যাবে না।' কমিশনে যা নিয়ে অভিযোগ জানায় বিরোধী দলগুলি। এরপর নির্বাচন কমিশন কেষ্টকে নজরবন্দি করেছিল।
'গুড় বাতাসা'
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যেজুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তোলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অনুব্রতর নেতৃত্বে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। সেই সময়ই গুড় বাতাসা দাওয়াইয়ের কথা বলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। কেষ্ট বলেছিলেন, 'ব্লক অফিসে গুড় বাতাসা এবং জল হাতে দলের কর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকবেন। গরমে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে গুড়বাতাসা ও জল খাওয়ানো হবে।'
'চড়াম চড়াম'
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোট। নারদা মামলায় তখন কোণঠাসা তৃণমূল। প্রচারে মমতা জানিয়েছেন তিনিই রাজ্যের ২৯৪ কেন্দ্রের প্রার্থী। সেই সময়ই নিজস্ব ঢঙে বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে চড়াম চড়াম তত্ত্বের কথা আওরেছিলেন অনুব্রত। বলেছিলেন, 'বিরোধীদের জন্য চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজবে।' যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
'চড়াম চড়াম'-'গুড় বাতাসা' থেকে 'ভয়ঙ্কর খেলা হবে', একনজরে ৫ হিট কেষ্ট-বাণী
বঙ্গ রাজনীতির ডায়লগ মেকার আজ সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।
Follow Us
ভোট হোক বা রাজ্যের ঘটনাবহুল নানা বিষয়- অনুব্রত মণ্ডল মুখ খুললেই হিট। বেশিরভাগ সময়ই সেসব বাণী ঘিরে নানা বিতর্ক হত। শাসক থেকে বিরোধী শিবির জোর চর্চা করত। কিন্তু, অবিচল থাকতেন মমতা প্রিয় 'কেষ্ট'। আজ সেই বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিই গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই জালে। তারপরই আনন্দে মেতেছে বিজেপি। রাজ্যের নানা প্রান্তে চলছে গুড়বাতাসা, নকুলদানা বিলি।
একনজরে অনুব্রতর বাণী-
'ভয়ঙ্কর খেলা হবে'
একুশের বিধানসভা ভোটের ২০০ আসন জেতার দাবি করেছিল বিজেপি। পাল্টা 'খেলা হবে' স্লোগান তোলে তৃণমূল। দলের স্লোগানে আরও মাত্রা যোগ করেন অনুব্রত। বলেছিলেন 'ভয়ঙ্কার খেলা হবে।' যা ঘিরে জোর বিতর্ক হয়। বিরোধী শিবির অভিযোগ করে বলেছিল- ভোটে সন্ত্রাসের ইঙ্গিত রয়েছে বীরভূম জেলা সভাপতির কথায়।
'শুঁটিয়ে লাল'
২০২০ সাল। জেএনইউ-তে এবিভিপি-র তাণ্ডব দেখে রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিলেন অনুব্রত। বলেছিলেন, 'জেএনইউয়ে যা করার করেছে, ক্ষমতা থাকলে এখানে করে দেখাক, করুক তো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে, করুক তো বিশ্বভারতীতে, করুক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুঁটিয়ে লাল করে দেব।'
'নকুলদানা'
২০১৯ সালের লোকসভা ভোট। বঙ্গে গেরুয়া প্রভাব লক্ষণীয় ছিল। ভোটের ফলেও তার রেশ দেখা যায়। তখনই অনুব্রত মণ্ডল নকুলদানা তত্ত্বের কথা বলেন। কেষ্ট বলেছিলেন, 'নকুল দানা খেলে আঙুল অন্য কোথাও যাবে না।' কমিশনে যা নিয়ে অভিযোগ জানায় বিরোধী দলগুলি। এরপর নির্বাচন কমিশন কেষ্টকে নজরবন্দি করেছিল।
'গুড় বাতাসা'
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যেজুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তোলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অনুব্রতর নেতৃত্বে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। সেই সময়ই গুড় বাতাসা দাওয়াইয়ের কথা বলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। কেষ্ট বলেছিলেন, 'ব্লক অফিসে গুড় বাতাসা এবং জল হাতে দলের কর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকবেন। গরমে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে গুড়বাতাসা ও জল খাওয়ানো হবে।'
'চড়াম চড়াম'
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোট। নারদা মামলায় তখন কোণঠাসা তৃণমূল। প্রচারে মমতা জানিয়েছেন তিনিই রাজ্যের ২৯৪ কেন্দ্রের প্রার্থী। সেই সময়ই নিজস্ব ঢঙে বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে চড়াম চড়াম তত্ত্বের কথা আওরেছিলেন অনুব্রত। বলেছিলেন, 'বিরোধীদের জন্য চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজবে।' যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।