চলতি বছরের জানুয়ারি মাস, সকলকে চমকে বীরভূমের দোর্দদণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল সভাপতি জিতেছিলেন এক কোটি টাকা। যা নিয়ো জোর শোরগোল হয়েছিল। বর্তমানে গরুপাচার মামলায় জেলে কেষ্ট। সামনে আসছে তাঁর নামে-বেনামে একের পর সম্পত্তির হদিশ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, অনুব্রত সহ তৃণমূলের একাধিক নেতার আত্মীয়রা ডিয়ার লটারির জিতছেন। আসলে ওই লটারির মাধ্যমে জোড়-ফুল নেতারা কালো টাকা সাদা করছেন। শুভেন্দুর দাবি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়। এসবের মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের সেই লটারি জয় নিয়ে শুরু হল সিবিআই তদন্ত।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাসূত্রে খবর, বোলপুরে গাঙ্গুলি লটারি নামের লটারির দোকান থেকে ওই টিকিট কাটা হয়েছিল। বুধবারই নিজাম প্যালেসে ওই লটারি এজেন্ট বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কেকে জেরার জন্য ডেকেছে সিবিআই। অনুব্রত কী নিজে গিয়ে সেই টিকিট কিনেছিলেন নাকি কারও মাধ্যমে কেনা হয়েছিল তা এজেন্টের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হতে পারে বলে সূত্রে খবর। এছাড়া, জানতে চাওয়া হতে পারে যে, আগে অনুব্রত কখনও লটারি খেলতেন কি না? কত টাকায় কতগুলি টিকিট কিনেছিলেন। সেই টিকিটগুলির নম্বর কত ছিল?
শুধু অনুব্রতই নয়। সম্প্রতি জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিরা গুপ্তও ডিয়ার লটারিতে এক কোটি টাকা জিতেছেন। পাশাপাশি, অনুব্রতর জেলার এক তৃণমূল নেতার ভাইয়ের স্ত্রীও লটারিতে এক কোটি টাকা পেয়েছেন।
কীভাবে একের পর তৃণমূল নেতা এবং তাঁদের আত্মীয়রা প্রায়ই জিতছেন ডিয়ার লটারির এক কোটি টাকা? সেই রহস্য উদঘাটন করতে তৎপর কেনেদ্রীয় গোয়েন্দা দল।