কেষ্ট যাবে দিল্লি, কিন্তু সঙ্গে যাবে কে? টানা দুদিন পুলিশ-ইডি টানাপোড়েনের পর অবশেষে জট কেটেছে। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই। মঙ্গলবার দোলযাত্রার সকালে গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হল আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। সকাল সাতটা নাগাদ তাঁকে জেল থেকে বের করা হয়।
অনুব্রতকে নিয়ে সাতসকালে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। জেলের তরফে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর একজল সহযোগী অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতায় আসছেন। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের একজন ইনস্পেক্টর, তিনজন এসআই এবং ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি টিম। দুটি পাইলট গাড়ি। একটি কনভয়ের আগে আরেকটি পিছনে। সঙ্গে যাচ্ছে একটি অ্যাম্বুল্যান্স, তাতে জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগী।
কলকাতায় নিয়ে আসার পর প্রথমে অনুব্রতকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে অনুব্রতর শারীরিক পরীক্ষার পর সার্টিফিকেট নিয়ে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হবে। তার পরই তাঁকে বিমানে করে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা ইডি আধিকারিকদের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অনুব্রতর সঙ্গে থাকবেন এক চিকিৎসক।
আরও পড়ুন কেষ্টর দিল্লি-যাত্রায় জট কাটল? CBI আদালতের নির্দেশে চর্চা তুঙ্গে
দিল্লি পৌঁছনোর পর রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রতকে হাজির করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় দুমাস ধরে অনুব্রতকে নিয়ে জটিলতা চলছিল। শেষমেশ দিল্লিযাত্রা আটকাতে পারেননি অনুব্রত। এই মামলায় আগেই দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর সায়গলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করা হতে পারে।