দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডল। রাত ৮টা ৫৬ নাগাদ তাঁর বিমান দিল্লিতে অবতরণ করে। সঙ্গে ছিলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার দুপুরে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে কলকাতা বিমানবন্দরে নিয়ে যায় পুলিশ। কেষ্ট তারপর থেকেই পুরোপুরি ইডি-র জিম্মায়। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ফিট সার্টিফিকেট মিলতেই আর দেরি করেনি ইডি। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার সন্ধের বিমানেই অনুব্রত মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে রওনা দেন ইডিকর্তারা। দিল্লিতেও তাঁর একদফা স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে জোকার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় কেষ্টকে। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে তাঁকে হাসপাতালে ঢোকানো হয়। সেখানে বহু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কারও কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি অনুব্রত। এর আগে মঙ্গলবার সকালে আসানসোল জেল থেকে কলকাতায় আসার পথে শক্তিগড়ে খেতে দাঁড়িয়েছিলেন অনুব্রত। তখনও কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। মনমরা ছিলেন, একরাশ বিরক্তি তাঁর চোখেমুখে। হাসপাতালেও একই স্বভাব ছিল তাঁর।
এদিকে, অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “কোর্টের বিষয়, সে ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না আমি। বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদবে না। বিচার হবেই বিচারে সত্যতা বেরিয়ে আসবে। আমরা বিচার ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস করি। ভগবান যেমন কোনও অন্যায় করতে পারেন না তেমনই বিচারকও পারেন না। এটা আমি মন থেকে বিশ্বাস করি। এজেন্সির রাজ শেষ কথা বলবে না। শেষ কথা বলবেন মানুষ।”
আরও পড়ুন শক্তিগড়ে থামল পুলিশের কনভয়, কচুরি-ছোলার ডাল খেয়ে বিল মেটালেন অনুব্রত
প্রসঙ্গত, দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় দুমাস ধরে অনুব্রতকে নিয়ে জটিলতা চলছিল। শেষমেশ দিল্লিযাত্রা আটকাতে পারেননি অনুব্রত। এই মামলায় আগেই দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর সায়গলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করা হতে পারে।