দোলযাত্রার দিনই অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লিযাত্রা। তাই সেকারণে মঙ্গলবার সাতসকালে আসানসোল জেল থেকে বের করে কলকাতার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় কেষ্টকে। কড়া পুলিশি পাহাড়ায় জোকার ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে দাঁড়ায় কনভয়। সেখানে জলখাবার সারেন অনুব্রত। কিন্তু জেল থেকে বেরনোর পর থেকে শক্তিগড়ে খেতে গিয়ে বা বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি অনুব্রত।
এদিন খাবার সময় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা তাক করেছিল অনুব্রতর মুখ। তা দেখেই বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। রাস্তার ধারে একটি ধাবায় অনুব্রতকে জলখাবার খাওয়াতে নিয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানে কচুরি-ছোলার ডাল অর্ডার দেওয়া হয়। চুপচাপ খাবার খান অনুব্রত। তার পর পুলিশের গাড়িতে গিয়ে ওঠেন। জানা গিয়েছে, নিজের পকেট থেকেই খাবারের বিল মিটিয়েছেন অনুব্রত।
জেলের তরফে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর একজন সহযোগী অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতায় আসছেন। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের একজন ইনস্পেক্টর, তিনজন এসআই এবং ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি টিম। দুটি পাইলট গাড়ি। একটি কনভয়ের আগে আরেকটি পিছনে। সঙ্গে যাচ্ছে একটি অ্যাম্বুল্যান্স, তাতে জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগী।
আরও পড়ুন কেষ্টকে নিয়ে কলকাতার পথে পুলিশ, তুলে দেওয়া হবে ইডি-র হাতে, আজই দিল্লির আদালতে পেশ
কলকাতায় নিয়ে আসার পর প্রথমে অনুব্রতকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে অনুব্রতর শারীরিক পরীক্ষার পর সার্টিফিকেট নিয়ে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হবে। তার পরই তাঁকে বিমানে করে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা ইডি আধিকারিকদের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অনুব্রতর সঙ্গে থাকবেন এক চিকিৎসক।
দিল্লি পৌঁছনোর পর রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রতকে হাজির করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় দুমাস ধরে অনুব্রতকে নিয়ে জটিলতা চলছিল। শেষমেশ দিল্লিযাত্রা আটকাতে পারেননি অনুব্রত। এই মামলায় আগেই দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর সায়গলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করা হতে পারে।