দিল্লিতে ইডি হেফাজতে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর তাতেই লাল মাটির জেলায় আনন্দ উদযাপন শুরু হয়েছে। হোলির দিনে গেরুয়া আবির খেললেন জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। সঙ্গে অবশ্যই চড়াম চড়াম ঢাকের বোল আর বিলি হয়েছে গুড় এবং বাতাসা। এখানেই শেষ নয়। রঙের উৎসবের সেলিব্রেশনের আয়োজন রয়েছে বিকেলেও। রোদ পড়লেই চড়াম চড়াম বোলে ঢাকের সঙ্গে হবে এলাকা পরিক্রমাও। যাকে 'সার্কাস' বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
কেন এই উদযাপন? তার জবাব দিতে গিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন বীরভূম জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, 'ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। অনুব্রতর আজ সেই অবস্থাই হয়েছে। তৃণমূলের বাঘ এখন দল্লিতে। ফলে আর এই জেলায় চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে না। আমরাই তাই আজ শেষ বার সেই বোল বাজিয়ে দিচ্ছি। সকলে গুড়, বাতাসা খেতে খেতে সেই বাজনা শুনছেন। বীরভূমে আজ একটাই সুর, আহা কী আনন্দ আকাশে, বাতাসে। রাস্তায় আর উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকবে না। কোথাও আর ভোট লুট হবে না। কেষ্ট রাজধানীতে যেতেই বীরভূমের মানুষ গণতন্ত্রের মুখ দেখবেন। তারপরও যাঁরা গুন্ডামি করতে চাইবেন তাঁদের বলব কেষ্ট মণ্ডলের অবস্থা দেখুন। আজশুধুই রং দে তু মুঝে গেরুয়া।'
আরও পড়ুন- দিল্লিতে গভীররাত পর্যন্ত বিস্তর নাটক, অনুব্রতকে ৩ দিনের জন্য হেফাজতে পেল ED
বিজেপির এই উদযাপন সম্পর্কে বীরভূমের তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা এ সব নিয়ে ভাবছি না। বিজেপি এ রকম অনেক সার্কাস করবে। আমরা মানুষের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত। তার জবাব নির্বাচনে বিজেপি পেয়ে যাবে।' আসানসোলের জেল থেকে দিল্লিতে বিচারকের বাড়িতে শুনানি পর্ব- টানটান নাটক চলেছে মঙ্গলবার মধ্যরাত অবধি। জানা গেছে, গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ সশরীরে দিল্লির বিচারকের বাড়িতেই হাজিরা দিতে হয় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। মাঝরাত অবধি চলে শুনানি পর্ব। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক রায় দেন আগামী ১০ মার্চ অবধি ইডি হেফাজতেই থাকবেন কেষ্ট।