সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন জেরায় তাঁর বিরুদ্ধে সহযোগিতা না করার অভিযোগ উঠেছিল। জেল হেফাজতেও একই অভিযোগ অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে জেরা করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। মিনিট ২০ এই জেরা পর্ব চলে। কিন্তু, জেরায় সহযোগিতা করেননি বলেই জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
দুপুর প্রায় বারোটায় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা আসানসোল সংশোধোনাগারে যান। তাঁদের মধ্যে একজন অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জেলের মধ্যে যান। সূত্রে খবর, প্রথমে গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত কেষ্টর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করা হয়। প্রায় ১৫ মিনিট জেরা চলে।
বোলপুরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই অনুব্রতর একাধিক বেনামী সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে। তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামের বিপুল সম্পত্তি মিলেছে। এছাড়া জেরায় সায়গল হোসেনও মুখ খুলেছে, তাঁর বাড়ি থেকে একাধিক দলিল উদ্ধার করেছে সিবিআই। সেই সব নিয়েই অনুব্রতর কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু তেমনভাবে অনুব্রত মণ্ডল মুখ খোলেননি বলেই অভিযোগ।।
এরপর সিবিআই গোয়েন্দারা আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে যান। এদিন কয়লা পাচার মামলায় ধৃত ইসিএল আধিকারিকদের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। ফলে আদালতে হাজির ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা।