Anubrata Mondal: জয়দেবের মেলায় হাতজোড় করে হাসছেন অনুব্রত মণ্ডল! সঙ্গে মমতা-অভিষেক-ও
anubrata mondal TMC: গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে বন্দি রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকে দলীয় পোস্টার ও ব্যানারে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখাল জেলা তৃণমূল।
Jaydev Kenduli mela 2024: বীরভূমের রাজনীতিতে ক্রমশ ম্লান জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। কাগজে কলমে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি থাকলেও দলে তাঁর দাপট প্রায় শেষ! কোনও অনুষ্ঠানে কেষ্টর (অনুব্রত মণ্ডল জেলা রাজনীতিতে এই নামেই পরিচিত) ছবি ব্যবহারে দলের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুব্রতর হাসিমুখে হাতজোড় করা ছবি জ্বলজ্বল করছে ৪০০ বছরের প্রাচীন জয়দেব-কেন্দুলি মেলায়। অনুপস্থিত জেলাসভাধিপতি তথা জেলা রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা কাজল শেখের মুখ।
Advertisment
জয়দেব কেন্দুলি মেলায় আগতদের শুভেচ্ছা জানাতে মেলার প্রবেশ পথগুলিতে অস্থায়ী তোরণ তৈরি করেছে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তোরনেই শোভা পাচ্ছে তিহার জেলে বন্দি বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। সেই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে বন্দি রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকে দলীয় পোস্টার ও ব্যানারে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখাল জেলা তৃণমূল।
কেন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন? তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মেলা বা কোথাও রাজনৈতিকভাবে কোন পতাকা ব্যানার ফেস্টুন দেওয়া হয় না। যারা মেলা আয়োজন করেছেন তাদের তরফেই এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। এখানে দলের কোন বিষয় নেই।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির বীরভূম জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, 'এসব কাটমানির গল্প। জয়দেব কেন্দুলি মেলা যারা করেন তারা অনুব্রত মণ্ডলের থেকে কাটমানির অংশ পেতেন। উনি তো জেলে রয়েছেন। তাই কাটমানি কমে যাচ্ছে। তাই ছবি দিয়ে কাটমানি বাড়িয়ে দিতে বলার এটা কৌশল।'