তাঁকে জামিন না দিলে গাঁজা কেসে ফাঁসানো হবে পরিবারের লোকজনকে। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি কাণ্ডে এবার নাম জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু বুধবার আসানসোলে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় এই ইস্যুতে মুখ খুললেন অনুব্রত নিজেই। গরুপাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি সাফ জানালেন, বিচারককে হুমকি চিঠির ঘটনায় তিনি নিজেই সিবিআই তদন্ত চাইবেন।
প্রসঙ্গত, আজ, বুধবার অনুব্রতর ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই আজ সকালে নিজাম প্যালেস থেকে আসানসোলের আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কেষ্টকে। বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, 'আমি জজসাহেবকে বলব, যাঁরা জজসাহেবের সম্পর্কে বলেছে। আমি সিবিআই তদন্ত চাইব।' সিবিআই সূত্রে খবর, একটি হুমকি চিঠি দিয়ে আদালতের বিচারককে বলা হয়েছে, 'গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিন, নয়তো সপরিবারে মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে।'
বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই সেই হুমকি চিঠির কথা জানিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা জজকে। সেখানে উল্লেখ, ‘একটি চিঠি আমার কাছে এসে পৌঁছেছে। তাতে বলা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন না দিলে আমার গোটা পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে।’ কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও এ ব্যাপারে অবহিত করেছেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। তিনি গত ২০ অগাস্ট এই চিঠি পান বলে দাবি করেছেন।।
আরও পড়ুন কেষ্টর জামিন চেয়ে বিচারককে হুমকি চিঠি, তাঁর নাম ওঠায় হতভম্ব হেড ক্লার্ক
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কথায়, ‘এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগে মদন মিত্রের জামিনের আবেদনের সময়ও নিম্ন আদালতের বিচারকদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হত। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। বিচার ব্যবস্থাকেও ওরা নিরপেক্ষ থাকতে দেবে না। বিচারের সময় এগুলিতেও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, চিঠির প্রেরক হিসাবে লেখা ছিল বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নাম। এমন হুমকি চিঠির পরেও কি জামিনের আশা রাখেন অনুব্রত? তার উত্তরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'সেটা আদালত বলবে।' গতকাল স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিজাম প্যালেসে ফেরত আনার সময় এই চিঠি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অনুব্রত বলেন, 'এসব বিজেপি করেছে। বিজেপির চাল।'