ফের জামিন নাকচ হল গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের। শুক্রবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। আবেদন করার সময় তিনি বলেছিলেন '৩২৩ দিন ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক।' যার বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী জশ কিষান। তাঁর যুক্তি ছিল অনুব্রত মণ্ডল 'প্রভাবশালী'। বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডল খুব প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। এইসময় তাকে জামিন দেওয়া হলে তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।' এরপরই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রতর জামিনের আবেদন আবারও নাকচ করে দেন। আগামী ১৪ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
ভার্চুয়াল শুনানির কথা থাকলেও এজলাস থেকে তিহার জেলের সঙ্গে টেকনিক্যাল কারণে যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। তিনি বলেন, 'আমার মক্কেল ২০২২ সালের ১১ অগস্ট থেকে জেল বন্দি হয়ে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জশিট জমা পড়েছে। কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে তা জানা যাচ্ছে না। তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক।'
এরপরই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের তদন্তকারি অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসা করেন আর কত লাগবে? জবাবে সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, 'নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তার জন্য কয়েকজন সাক্ষীর বয়ান প্রয়োজন।” তাও বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাঁর কাছে আবারও জানতে চান যে, আর কতদিন ধরে তদন্ত চলবে? উত্তরে সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, 'খুব দ্রুত এই মামলায় ফাইনাল চার্জশিট দেওয়া হবে।' উল্লেখ্য, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ২৮৩ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে।
দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক রায়দান সাময়িক স্থগিত রেখেছিলেন। দুপুর দুটোর পরে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রত মণ্ডলের জামিন নাকচ করেন।