টেট পাস না করেই প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। একই অভিযোগ কেষ্টর আরও পাঁচ আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই অভিযোগ করেছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। যার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সুকন্যা মণ্ডল ও বাকি পাঁচ জনকে বৃহস্পতিবারই বিকেল ৩টের মধ্যে আদালতে টেট পাসের সার্টিফিকেট ও নিয়োগের নথি সহ হাজিরার নির্দেশ দেন। এর কয়েক ঘন্টা পর, এ দিন সন্ধ্যায় বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ি থেকে গাড়িতে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা।
এর আগে সিবিআই তলব পেয়ে একাধিকবার কলকাতা আসলেও হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন সিবিআই গোয়েন্দারা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বাড়িতে গেলেও বাবার পথে হেঁটে কথা বলতে চাননি তিনি। দেখার, আগামিকাল সুকন্যা মণ্ডল কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হন কিনা?
প্রাথমিকের শিক্ষিক পদে চাকরির জন্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে টেট পাস করা। কিন্তু সেই পরীক্ষাতেই সুকন্যা মণ্ডল পাস করেননি বলে অভিযোগ উঠছে। এছাড়া, শিক্ষিকার চাকরির নিয়োগ পাওয়ার পর সুকন্যা মণ্ডল একদিনও বোলপুর কালীকাপুর প্রাথমিক স্কুলে পড়াতে যাননি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- অনুব্রত ও তাঁর আত্মীয়দের কোটি কোটি টাকার fixed deposit-র হদিশ, বাজেয়াপ্ত করল CBI
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন নির্দেশিকায় উল্লেখ করেছিলেন, বুধবারের মধ্যে রায় বিষয়টি আদালতের প্রশাসন বীরভূমের পুলিশ সুপারকে জানিয়ে দেবে। পুলিশ সুপার সুকন্যা সহ বাকিদের কাছে হাজিরার কথা জানাবেন।
সুকন্যার মতই টেট না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ অনুব্রত মণ্ডলের ভাই, ভাইপো ও দুই ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে। তালিকায় উঠে আসছে, সুমিত মণ্ডল, অর্ক দত্ত, সাত্যকী মণ্ডল, কস্তুরি চৌধুরী ও সুজিত বাগদির নাম। সন্ধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের ভাই সুমিত মণ্ডল বলেন, 'আমি তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি। আমি টেট পাস করেছি। আদালতের যেমন নির্দেশ দেবে তেমন কাজ করব।' তবে তিনি বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দেবেন কিনা তা স্পষ্ট করেননি।