বাবার মতো এবার জেলে ঠাইঁ মেয়েরও। ইডি হেফাজত শেষে এবার অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যাকে জেল হেফাজতে পাঠাল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। গরু পাতার মামলায় ভার্চুয়ালি কোর্টে পেশ করা হয়েছিল কেষ্ট-কন্যাকে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির মেয়ে সুকন্যার ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
গরু পাচার মামলায একাধিক বার তাঁকে তলব করা হলেও বারবার নানা অজুহাতে হাজিরা এড়িয়েছিলেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা। শেষমেশ দিন কয়েক আগে ফের একবার তলব পেয়ে হাজিরা দিতে এসেছিলেন সুকন্যা মণ্ডল। ইডির বহু প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেননি। শেষমেশ তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত কয়েকদিন ধরে হেফাজতে নিয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে দফায়-দফায় জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। ইডি সূত্রের দাবি, টানা জেরায় মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন সুকন্যা।
আরও পড়ুন- একটানা জেলবন্দি পার্থ, নাগরিক পরিষেবা মসৃণ রাখতে বেহালা পশ্চিমে ফের ভোট?
সুকন্যার নামে কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। এছাড়াও জমি, বাড়ি, রাইসমিল, ফ্ল্যাটের মালিকানাও তাঁর নামে রয়েছে। পেশায় স্কুলশিক্ষিকা হয়ে কীভাবে তিনি বিপুল পরিমাণ এই সম্পত্তির মালিক হলেন? ইডি আধিকারিকদের এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর তিনি দিতে পারেননি। বরং হাউ হাউ করে কাঁদতে কাঁদতে তিনি নাকি বলেছেন, তাঁর কিছু জানা নেই।
সবটাই তাঁর বাবা অনুব্রত মণ্ডল ও মণীশ কোঠারি জানেন বলে দাবি করেছিলেন সুকন্যা। এমনকী বাবার সঙ্গে তিনি দেখাও করতে চেয়েছিলেন বলে ইডি সূত্রের দাবি। মণীশ কোঠারি পেশায় একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির যাবতীয় হিসেব-নিকেশ তিনিই করতেন। তাঁকে ইডি আগেই গ্রেফতার করেছিল।
আরও পড়ুন- ছাড় পাননি দেবের ভাইও! সরকারি বাড়ি পেতে ‘কাটমানি’ তৃণমূল নেতাদের, অভিযোগে তোলপাড়
সুকন্যা এতদিন ইডি হেফাজতেই ছিলেন। তবে এদিন ভার্চুযালি তাঁকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করা হয়েছিল। আদালত অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যার ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর দিল্লির তিহাড় জেলে রেখেছে ইডি। এবার বাবার সঙ্গেই সেই তিহাড়েই ঠাঁই হতে চলেছে কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলেরও।