গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই হেফাজতে সায়গল হোসেন। দোর্দদণ্ডপ্রতাপ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সে। ওই মামলায় অনুব্রতকেও একপ্রস্থ জেরা করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সায়গলের গ্রেফতারির পরই সোশাল মিডিয়ায় বড় ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।
নিজের বার্তায় কোনও ব্যক্তির নাম নেননি অনুপম হাজরা। শুধু লিখেছেন, 'দেহ-রক্ষী'র যদি এত সম্পত্তি হয়, দেহ তো আদানি-আম্বানিকেও ছাড়িয়ে যাবে।'
'দেহ-রক্ষী' বলতে অনুপম ধৃত সায়গলকেই বোধাতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, 'দেহ' শব্দের মাধ্যমে কাকে নিশানা করলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা? বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেই উদ্দেশ্য করেছেন অনুপম। উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় সিবিআই নজরে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের কার্যকলাপ। তাঁকে একবার জেরাও করা হয়।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির কারণে সায়গল হোসেন প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ছিলেন। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চলে। বৃহস্পতিবার সায়গলের বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি সিবিআই আদিকারিকদের।
জানা গিয়েছে, সায়গলের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট, প্রচুর জমির দলিল মিলেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁর আয়ের সঙ্গে বেতনের কোনও সামঞ্জস্য নেই। এর আগে গরুপাচার মামলায় বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার এবং এনামুল হককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। অভিযোগ, এনামুল হকের সঙ্গে সায়গালের ফোনে কথোপকথনও কল লিস্টে দেখা গিয়েছে।