Anurag Thakur: কলকাতায় এসে আবারও রাজ্য সরকারকে একহাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের। সন্দেশখালির ঘটনা থেকে শুরু করে পুরুলিয়ায় সাধু নিগ্রহ এমনকী ইন্ডিয়া জোটের অবস্থান নিয়েও তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়লেন না অনুরাগ। বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা শোনা গেল মোদী সরকারের এই ডাকাবুকো মন্ত্রীর মুখে।
কী বললেন অনুরাগ ঠাকুর?
"বাংলার আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য আসা উন্নয়নের কাজের টাকা টাকা এরা খেয়ে নেয়। কাটমানির সরকার চলছে বাংলায়। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলে ইডির অফিসারদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। দেশের মানুষের টাকার হিসেব নিতে গেলে দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁর দলেরই সাংসদ-বিধায়কদের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই। উনিই কি তবে লুঠের ছুট দিয়ে রেখেছেন? দেশের কোথাও যা হয় না বাংলায় তাই হয়।"
সন্দেশখালিতে ইডির অফিসারদের উপর হামলা নিয়েও রাজ্যের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রের এই মন্ত্রী। শেখ শাহাজাহান এখনও অধরা থাকার পিছনেও 'রাজনীতি' রয়েছে বলে আশঙ্কা তাঁর। তিনি বলেন, "তুষ্টিকরণের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের লোককে সুরক্ষা কে দিচ্ছে? কার গাড়িতে ওকে দেখা যাচ্ছে? সে কোথায় লুকিয়ে আছে? কে ওকে বাঁচাচ্ছে? এটাই প্রথম উদাহরণ নয়। যদি কোনও পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাকে বাঁচাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমে আসেন। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকে ধরার বদলে বাঁচানোর চেষ্টা করঠে। বাংলায় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিত ভয়ঙ্কর। অপরাধীদের আশ্রয় দেয় তৃণমূল।"
আরও পড়ুন- নামী দামী বেসরকারি স্কুলও ভাবতেই পারবে না! তাকলাগানো কীর্তি বাংলার এই সরকারি স্কুলের
এদিকে, অনুরাগ ঠাকুরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে তৃণমূলও। দলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এসব কথা বলছেন অনুরাগ ঠাকুর। মোদী গত ১০ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিজেপি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ঋণ মকুব করে দিলেন। সেটাও তো একটা বিশাল দুর্বীতি। সেব্যাপারে উনি কিছু বলেন না।"