Advertisment

শিবপুরে হিংসা: এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মোদীর মন্ত্রীর!

রামনবমীর দিনে শিবপুরের হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
anurag thakur slams mamata banerjee regarding shibpur violence

মোদী সরকারের মন্ত্রীর নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

হাওড়ার শিবপুরের হিংসা নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন না হলে রাজ্যের বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মোদী মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে অনুরাগ ঠাকুরের এই হুঁশিয়ারি ঘিরে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।

Advertisment

রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুরে হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দুই গোষ্ঠীর ধুন্ধুমার সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বাড়িঘর, দোকানে চলে বেপরোয়া ভাঙচুর। উন্মত্ত জনতাকে শান্ত করতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। এবার শিবপুরের এই হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আভাস থাকলে যথেষ্ট পুলিশ কেন ছিল না? এর অর্থ মুখ্যমন্ত্রী জেনেশুনে চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সচেতন না হলে এবার কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।'

আরও পড়ুন- আবারও উত্তপ্ত শিবপুর, পুলিশি বাধায় রেগে ‘আগুন’ সুকান্ত, তুমুল তর্কাতর্কি

এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন হুঁশিয়ারি সম্পর্কে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'দিল্লিতে বসে হুমকি দিচ্ছে নির্বাচিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে। বিজেপি রামনবমীর মিছিল বের করলেই গত ৩-৪ বছর ধরে সমস্যা হচ্ছে। পুলিশের চেয়েও বেশি অস্ত্র ছিল। কে মিছিলে অস্ত্র পৌঁছে দিল? তার উত্তর দেবেন অনুরাগ ঠাকুর? আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের ব্যাপার। দিল্লিতে বসে দাদাগিরি বন্ধ করুন।'

আরও পড়ুন- খুনের পর গাড়ি ফেলে ট্রেনে চম্পট আততায়ীদের? রাজু খুনে হাড়-হিম তথ্য প্রকাশ্যে!

অনুরাগ ঠাকুরের এই হুঁশিয়ারির সমালোচনা করলেও শিবপুরের হিংসা নিয়ে রাজ্যকে বিঁধতে ছাড়েননি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, 'দেশ কে গদ্দারো কো গোলি মারো শালো কো! এই ধরনের কথা যারা বলেন তাঁদের অন্য কাউকে জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পশ্চিমবঙ্গে রাজধর্ম পালন করা হচ্ছে, এটা কেউই বলতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী যদি জানতেন কিছু ঘটতে পারে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? বিভাজনের রাজনীতির সুবিধা নিতে চাইছিলেন? তাই নরম ছিলেন? নাকি জেনেবুঝে কোনও ঘটনা থেকে রাজনৈতিক মুনাফা তোলার কথা ভাবলেন?'

আরও পড়ুন- শিক্ষকের বেতন ও বিধানসভার ভাতা দুইই তোলেন তৃণমূল বিধায়ক? অভিযোগে চর্চা তুঙ্গে

West Bengal Violence Ramnavami bjp tmc Mamata Banerjee
Advertisment