মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তাকলাগানো সাফল্য বঙ্গতনয়ার। রাজ্যতো বটেই বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে এখন জাতীয়স্তরেও দাপট জারি 'জলপরী'র। একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী ইতিমধ্যেই ঝুলিতে পুরে ফেলেছেন ৩৮টি মেডেল। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি স্বর্ণপদকও রয়েছে। রাজ্য তথা জাতীয়স্তরের একাধিক প্রতিযোগিতায় সাফল্যের শিরোপা ছুঁয়ে নিজের এলাকা তো বটেই গোটা বাংলার মুখ উজ্বল করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী অনুষ্কা নষ্কর।
Advertisment
বাঙালি কন্যার কোন কীর্তি এত চর্চায়?
বারুইপুরের মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা অনুষ্কা নস্কর। ন্যাশনাল আন্ডার ওয়াটার ফিনস সুইমিং কম্পিটিশনে ৫০, ১০০ ও ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইল ফিষ্টে স্বর্ণপদক জিতেছে মেয়েটি। শুধু তাই নয়, ৫০০ মিটার আন্ডার ওয়াটারেও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন অনুষ্কা। তাঁর এই নজিরবিহীন সাফল্যে গর্বিত বাবা-মা-বোন ও পরিবারের অন্যরা। গর্বিত প্রতিবেশীরাও।
মায়ের সঙ্গে অনুষ্কা।
অনুষ্কার আজকের এই সাফল্যের পিছনের লড়াইটা কিন্তু বেশ কঠিন ছিল…
ছোট থেকেই সাঁতার বেশ পছন্দের ছিল অনুষ্কার কাছে। মেয়ের জলের প্রতি টানটা অনুভব করেছিলেন বাবা-মাও। তাঁরাও সমানতালে উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছেন আদরের মেয়েকে। অনুষ্কার সাঁতারে হাতেখড়িটা বারুইপুরেই। তবে বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকা থেকে কলকাতার কলেজ স্কোয়ারে সাঁতার শিখতে যান অনুষ্কা।
এদিকে, অনুষ্কার এই নজিরবিহীন কীর্তিকে কুর্ণিশ জানিয়েছে তাঁর পাড়ার দুর্গাপুজো কমিটিও। মহাসপ্তমীর রাতে পাড়ার দুর্গাপুজোর মণ্ডপে 'কীর্তিময়ী'কে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হযেছিল। পাড়ার মেয়ের এই সাফল্যের কৃতিত্ব স্বরূপ তাঁর হাতে ছোট্ট উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে। নিজের পাড়া থেকে এমন উৎসাহ পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত অনুষ্কা ও তাঁর পরিবার। অনুষ্কার কথায়, "এবার মনে হচ্ছে জেদটা আরও বেড়ে গেল। নিজের পাড়া থেকে এমন সংবর্ধনা পেয়ে আমি আপ্লুত।"