নির্বাচন পরবর্তী অশান্ত ভাটপাড়া পরিদর্শনে এলেন বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। এদিন অপর্ণা সেন, চন্দন সেন, কৌশিক সেনরা ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ায় এলেও এখানকার পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত বিদ্বজনদের নামের তালিকাটা এখানেই শেষ নয়। নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত এবং কবি শঙ্খ ঘোষও অপর্ণা-চন্দ্ন-কৌশিকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন ঝাড়খণ্ডের ‘খুন’ মানবতার কলঙ্ক: সৌগত রায়
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাটপাড়ায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সন্ত্রাস কবলিত গোটা এলাকা ঘুরে দেখছেন তাঁরা। নাট্যব্যাক্তিত্ব চন্দন সেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানান, "ভাটপাড়া বাংলার পুরানো ঐতিহ্যশালী জায়গা। এই এলাকা সম্প্রীতি এবং সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এই নির্বাচনের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, প্রবল গুন্ডামি, রক্তপাত ও রাহাজানি হচ্ছে। এই ব্যাপারে পুলিশ নির্বাক হয়ে রয়েছে। ভাটপাড়ায় আজ আমরা তাই শান্তির দাবি নিয়ে এসেছি আমরা"। চন্দনবাবু আরও বলেন, "এই যে দু'জন ফুচকাওয়ালা মারা গেল, ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ায় অশান্ত পরিবেশ তৈরি হল, তা নিয়ে আমরা কেবল আর্তনাদ করলাম। তাই আজ তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাইছি এবং পুলিশ যাতে সঠিক ব্যবস্থা নেয় সেই দাবিও আমরা জানাব। পুলিশের মধ্যে যদি কোনও দুর্বৃত্ত থাকে, তাদের বিরুদ্ধেও যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা নিয়েও আবেদন জানাব। রাজনীতি না করে নিরপেক্ষভাবে তদন্তের দাবি জানাব আমরা।"
আরও পড়ুন সবাই ‘অপরাধী’, আর ‘পিসি ভাইপো সাধু’? প্রশ্ন সুজনের
চন্দন সেন জানান, "কবি শঙ্খ ঘোষ বলেছেন, এই উদ্যোগটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, আমি সমর্থন জানাচ্ছি"। এছাড়া, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, অশোক মুখোপাধ্যায়েরাও চন্দন-অপর্ণা-কৌশিকদের তৈরি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন।
বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ থেকে চন্দন সেনের আর্জি, "আমরা মানুষকে বলব আগের মতো ভাটপাড়াকে স্বাভাবিক করে তুলন আপনারা। কোনও রাজনৈতিক রং দেখে কিছু বিচার করবেন না। পুলিশকে বলতে চাই, প্রাথমিক ব্যর্থতা এসেছিল পুলিশের পক্ষ থেকেই। তবে এখন যেন পুলিশ নিজে দায়িত্ব নিয়ে ভাটপাড়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে"।